সৈয়দপুরের টুপি ও জ্যাকেট রপ্তানি হচ্ছে ভারতে

শীতের আমেজ শুরু হতেই নীলফামারীর শিল্পশহর সৈয়দপুর থেকে জ্যাকেট ও টুপি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন, এ বছর প্রায় ১০ কোটি টাকার জ্যাকেট রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। এসব জ্যাকেটের বড় অংশ ভারতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানেও রপ্তানি হচ্ছে। দেশেও এই পণ্যগুলো বাজারজাত করা হয়।

Nov 13, 2024 - 04:44
 0  2
সৈয়দপুরের টুপি ও জ্যাকেট রপ্তানি হচ্ছে ভারতে
ভারতে রপ্তানির জন্য জ্যাকেট তৈরি করছেন শ্রমিকেরা। গত সোমবার সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার একটি ক্ষুদ্র গামেন্টস কারখানায় l

শীতের আগমনে সৈয়দপুর থেকে জ্যাকেট রপ্তানি শুরু

শীতের আমেজ শুরু হতেই নীলফামারীর শিল্পশহর সৈয়দপুর থেকে জ্যাকেট ও টুপি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন, এ বছর প্রায় ১০ কোটি টাকার জ্যাকেট রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। এসব জ্যাকেটের বড় অংশ ভারতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানেও রপ্তানি হচ্ছে। দেশেও এই পণ্যগুলো বাজারজাত করা হয়।

সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক সমিতির তথ্য মতে, শীত আসার আগেই জ্যাকেট তৈরির কাজ শুরু হয়। শহরের পাঁচ শতাধিক ক্ষুদ্র গার্মেন্টস কারখানায় দিন-রাত শীতের পোশাক তৈরির কাজ চলছে। কারখানাগুলোতে ১০ থেকে ২০০টিরও বেশি স্বয়ংক্রিয় মেশিন রয়েছে। এসব পোশাক তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ঝুট কাপড় সংগ্রহ করা হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ থেকে।

প্রতিবেশী দেশে রপ্তানি ও স্থানীয় চাহিদা

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে প্রচুর ক্রয়াদেশ পেয়েছেন। শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার মো. সেলিমের কারখানায় দুই শতাধিক মেশিনে জ্যাকেট তৈরি হচ্ছে। তিনি জানান, এ মৌসুমে তার কারখানা থেকে ভারতের শিলিগুড়িতে প্রায় ১০ কোটি টাকার জ্যাকেট পাঠানো হবে। নেপাল ও ভুটানে রপ্তানি হবে আরও ২ কোটি টাকার পোশাক।

নতুন বাবুপাড়ার এম আর গার্মেন্টসের মালিক মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, তিনি দুই কোটি টাকার টুপির ক্রয়াদেশ পেয়েছেন। চলতি মাসের শেষে এগুলো কলকাতায় পাঠানো হবে।

কর্মসংস্থান ও চ্যালেঞ্জ

সৈয়দপুরের মুন্সিপাড়া, সাহেবপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, কয়ানিজপাড়া, চাঁদনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা গার্মেন্টস কারখানাগুলো শীতের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত। এসব কারখানায় তৈরি পোশাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও সরবরাহ করা হয়। পাইকারি বাজারে প্রতিটি জ্যাকেট ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি আখতার খান জানিয়েছেন, ক্রয়াদেশ ভালো হলেও ব্যাংকগুলো আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে না আসায় ব্যবসার পরিধি বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ছে। বেশির ভাগ কারখানা রেলের জমিতে গড়ে ওঠায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সহজে ঋণ দিতে চায় না। তবে এ সমস্যা সমাধান হলে কর্মসংস্থান ও রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow