পশ্চিমা দেশ ভ্রমণে নাগরিকদের সতর্ক করল রাশিয়া, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী জানুয়াীতে হোয়াইট হাউজে বসার আগে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক নতুন বৈরিতায় রুপ নিচ্ছে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বন্দ্বপূর্ণ সম্পর্কের মুখে রাশিয়ান নাগরিকদের আগামী সপ্তাহগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং কিছু ইইউ দেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে মস্কো। বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। ।

Dec 12, 2024 - 03:58
 0  0
পশ্চিমা দেশ ভ্রমণে নাগরিকদের সতর্ক করল রাশিয়া, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী জানুয়াীতে হোয়াইট হাউজে বসার আগে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক নতুন বৈরিতায় রুপ নিচ্ছে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বন্দ্বপূর্ণ সম্পর্কের মুখে রাশিয়ান নাগরিকদের আগামী সপ্তাহগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং কিছু ইইউ দেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে মস্কো। বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। ।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রাশিয়ান এবং মার্কিন কূটনীতিকরা বলছেন, ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে সম্পর্ক যে কোনও সময়ের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে।  আর বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ পারমাণবিক যুদ্ধের সবচেয়ে বড় হুমকি দিচ্ছে মস্কো।

মারিয়া জাখারোভা বলেন, রুশ-মার্কিন সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং ওয়াশিংটনের দোষে তা ভাঙনের কিনারায় পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত বা সরকারি প্রয়োজনেই হোক, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ।

মারিয়া আরও বলেন, আমরা সবাইকে উৎসবের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র কানাডা এবং অধিকাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।

১৯৬২ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব মাত্র ১৮০ কিলোমিটার। এতে যুক্তরাষ্ট্র হুমকি অনুভব করে। এরপর একটি মার্কিন উড়োজাহাজ ভূপাতিত করা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ও সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা করেছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে সোভিয়েত নেতা রেডিও মস্কোতে ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, কিউবা থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এই ঘোষণায় পুরো বিশ্বে স্বস্তি ফিরেছিল।

কিন্তু এখন দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

ক্রেমলিন বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিদায়ী প্রশাসন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের আগে রাশিয়ার সাথে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে- এবং একটি বিস্তৃত যুদ্ধের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে বর্তমান প্রশাসন এই পথ অনুসরণ করবে এবং এই উত্তরাধিকার ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।  কীভাবে এবং কী উপায়ে - আমরা একসাথে দেখব।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা শত শত বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সাহায্য দিয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন করেছে এবং রাশিয়ান বাহিনীকে পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং পশ্চিমা নেতারা মস্কোর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী কায়াদয় ভূমি দখলের অভিযোগ এনেছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow