আসাদের স্ত্রী আসমা কি ফিরতে পারবেন যুক্তরাজ্যে?
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে মস্কো ছেড়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ খবর সম্প্রতি তুরস্কসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে মস্কো ছেড়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ খবর সম্প্রতি তুরস্কসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
২২ ডিসেম্বর রোববার প্রকাশিত খবরে বলা হয়, আসমা আল-আসাদ সিরিয়ার ক্ষমতায় দীর্ঘকাল থাকার পর, এখন মস্কোতে বসবাসরত অবস্থায় তার স্বামী বাশার আল-আসাদ থেকে বিচ্ছেদ চান। তিনি জানান, রাশিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে ইচ্ছুক। সিরিয়া থেকে পালিয়ে বর্তমানে আসমা ও তার সন্তানরা মস্কোয় রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন, যেখানে ৮ ডিসেম্বর দামেস্কে বিদ্রোহীদের হাতে ২৪ বছরের শাসনব্যবস্থা পতিত হয় এবং বাশার আল-আসাদ মস্কোতে আশ্রয় নেন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-আসাদ পরিবার দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে সিরিয়া শাসন করে এসেছে। ২১ বছর বয়সে আসমা সিরিয়ায় আসার পর, তার জীবনযাপন ও সম্পর্ক ছিল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-আসাদের সাথে, এবং ২০০০ সালে তাদের বিয়ে হয়।
এদিকে, ২২ ডিসেম্বর তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে মস্কোয় বিভিন্ন বিধিনিষেধের মাধ্যমে বাশার আল-আসাদকে সীমাবদ্ধ রাখা এবং তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার খবর প্রচারিত হয়। তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের এক ঘনিষ্ঠ মিত্র, ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই খবর অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, "এমন কোনো পরিস্থিতি বাস্তবে ঘটেনি"।
সিরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি আসমা আল-আসাদ যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তিনি ১৯৭৫ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে বেড়ে ওঠেন। ২০০০ সালে, ২৫ বছর বয়সে তিনি সিরিয়ায় চলে যান এবং সেখানে বাশার আল-আসাদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামি আগেই জানিয়েছেন, আসমাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে তার মন্তব্য ছিল, "আসমার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় তাকে যুক্তরাজ্যে স্বাগত জানানো হবে না।"
আসমা ২০১১ সালে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের আলোচনায় আসেন, যখন তিনি *ভোগ* সাময়িকীর প্রচ্ছদে ‘মরুর গোলাপ’ নামে পরিচিত হন। তবে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে তার স্বামী বাশার আল-আসাদ কর্তৃক দমন-পীড়নের পর তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এরপর থেকেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, এবং আসমার অবস্থান নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
২০১৮ সালে আসমার স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে, তবে পরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তর জানায় যে, আসমা বর্তমানে লিউকেমিয়ায় (রক্ত ও অস্থিমজ্জার ক্যানসার) আক্রান্ত এবং চিকিৎসাধীন।
বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর, আসমা আল-আসাদ ও তার সন্তানরা নভেম্বরের শেষভাগ থেকে মস্কোয় বসবাস শুরু করেন।
**সূত্র: বিবিসি**
What's Your Reaction?