পরিকল্পনা উপদেষ্টা: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি বলেন, একবার কোন জিনিসের মূল্য বেড়ে গেলে সেটি কমানো খুবই কঠিন, তবে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, রেমিটেন্সে বৃদ্ধি হয়েছে এবং বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য এসেছে, তবে মূল্যস্ফীতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

Dec 23, 2024 - 10:49
 0  0
পরিকল্পনা উপদেষ্টা: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি বলেন, একবার কোন জিনিসের মূল্য বেড়ে গেলে সেটি কমানো খুবই কঠিন, তবে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, রেমিটেন্সে বৃদ্ধি হয়েছে এবং বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য এসেছে, তবে মূল্যস্ফীতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

তিনি বলেন, সরকার বর্তমানে অযথা প্রকল্প বাতিলের কাজ করছে, যার ফলে উন্নয়ন বাজেটের আকার ছোট হলেও প্রবৃদ্ধির গতি কমবে না। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।

সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের উপদেষ্টা সম্মেলন কক্ষে এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, "আমি ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে ডিও লেটার পাঠিয়ে বিভিন্ন এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রস্তাব পাঠাতে বলেছি। বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে এমপি নেই, শুধু আমলারা ও উপদেষ্টারা আছেন। তাই উপদেষ্টারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন, রাস্তাঘাটের সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান করা হবে।"

তিনি জানান, বাজেট ঘাটতি সহনীয় রেখে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) সংশোধনের কাজ চলছে।

একটি প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, "আমাদের সিলেট ও মৌলভীবাজার অঞ্চলে প্রচুর গ্যাস মজুদ রয়েছে। আগের সরকার কেন এলএনজি ও কয়লা আমদানির দিকে বেশি ঝোঁক দিয়েছিল, সেটি বড় প্রশ্ন। আমরা আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে গ্যাস অনুসন্ধান এবং কূপ খনন করব। যতটা সম্ভব এই কাজ অব্যাহত রাখব, তবে গ্যাস উত্তোলনে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন।"

তিনি আরও বলেন, "এখন থেকে যেকোন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময়ই পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে সেখানে রাখবে, যাতে তারা নিশ্চিত করতে পারে যে, প্রকল্পটি পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে সর্বোচ্চ উপকারিতার দিকে যাবে। প্রকল্প তৈরি হওয়ার পরে পরিবেশ অধিদপ্তরের মতামত নেওয়া ভুল হবে, কেননা তখন তারা শুধু হ্যাঁ বা না বলতে পারে, যা কার্যকর নয়।"

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow