ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ৫৬ চাকমা ও বড়ুয়ার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ৫৬ জন চাকমা ও বড়ুয়া সম্প্রদায়ের সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। তারা বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালংয়ের হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ৫৬ জন চাকমা ও বড়ুয়া সম্প্রদায়ের সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। তারা বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালংয়ের হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন।
অনুপ্রবেশের সময়
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এর আগে, এক সপ্তাহ আগে আরও ১২ জন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।
অনুপ্রবেশকারীদের অভিযোগ
মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু থানার মেদাই এলাকার বাসিন্দা মুসা তংচংগ্যা জানান, বিদ্রোহীদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন বাবু বড়ুয়া (৩২), যিনি জানান, রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে তারা পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, "আমরা বাড়ি-ঘরে থাকতে পারি না। খাবারের অভাব এবং জীবনের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে ১১ পরিবারের ৪৪ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি।"
প্রশাসনের পদক্ষেপ
উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও যারীন তাসনিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বিজিবির তদন্ত
৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের তথ্য পাওয়া গেছে এবং কোন সীমান্ত দিয়ে তারা প্রবেশ করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিস্থিতির পটভূমি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ ও নির্যাতনের ফলে এ অনুপ্রবেশ ঘটেছে। নিরাপত্তা ও খাদ্যের সংকটে ভুক্তভোগী চাকমা ও বড়ুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
What's Your Reaction?