ডাকাতকে গণপিটুনির পর পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে জনতা
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় সেলিম (৩৮) নামে এক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। রোববার রাতে চরপাগলা গ্রামের বশির উল্লাহ হাওলাদারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় সেলিম (৩৮) নামে এক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। রোববার রাতে চরপাগলা গ্রামের বশির উল্লাহ হাওলাদারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাত থেকে আটজনের মুখোশধারী ডাকাত দল ওই বাড়ির বেলাল হোসেনের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে বেঁধে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এ সময় বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ডাকাতদের ঘেরাও করে। পরে তাদের মধ্যে এক ডাকাত সেলিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক সেলিম নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বাড়ির মালিক জনতা ব্যাংকের অফিস সহায়ক মো. বেলাল হোসেন জানান, তিনি চাকরির কাজে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে ডাকাতরা ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তার স্ত্রী ও সন্তানদের জিম্মি করে বেঁধে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ পাঁচ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ নম্বরে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেলিম নামের এক ডাকাতকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম তার সঙ্গে থাকা সোহাগ ও কামাল নামে আরও দুই জনের নাম প্রকাশ করেছে এবং সে নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। গণপিটুনিতে আহত সেলিমকে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
What's Your Reaction?