গভীর রাতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ, মালিকসহ গ্রেফতার ৩ জন
রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত একটি ছাত্রীনিবাসে নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করায় কয়েকজন ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা রোববার রাতে ছাত্রীনিবাস থেকে বের হয়ে আরএমপির বোয়ালিয়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত একটি ছাত্রীনিবাসে নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করায় কয়েকজন ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা রোববার রাতে ছাত্রীনিবাস থেকে বের হয়ে আরএমপির বোয়ালিয়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা মেস মালিক ও তার দুই ছেলের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে মেস মালিক আব্দুল মতিন ও তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, "ঝলক-পলক মেস" নামক ছাত্রীনিবাসে প্রায় ৩০০ ছাত্রী বসবাস করেন এবং মালিক তাদের কাছ থেকে সাত মাসের অগ্রিম ভাড়া গ্রহণ করেন। রোববার দুপুরে এক ছাত্রী নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করায় মেস মালিক ও তার দুই ছেলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। এরপর, ছাত্রীদের সারা দিন ছাত্রীনিবাসে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অন্য ছাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করলে, মেস মালিক ও তার দুই ছেলে ঝলক এবং পলক তাদের হুমকি দেন। রাতে ছাত্রীরা স্থানীয়দের সহায়তায় ছাত্রীনিবাসের তালা ভেঙে বাইরে বের হয়ে আসেন। পরে বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং মেস মালিক ও তার দুই ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীরা থানায় মামলা দায়ের করলে, পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। মামলা অনুযায়ী, আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হাফিজুর রহমান বলেন, "এ ধরনের ঘটনা আমাদের কাছে নতুন। আমরা সজাগ থাকব এবং কেউ এমন ঘটনা মুখোমুখি হলে ৯৯৯ বা থানায় ফোন করে দ্রুত সহায়তা পাবেন।"
এ ঘটনায় রাজশাহীতে ছাত্রীদের প্রতি এমন নির্যাতনের ঘটনায় সাধারণ মানুষও স্তম্ভিত হয়েছেন।
What's Your Reaction?