ইতিহাস সৃষ্টি করে সাফল্যের মন্ত্র শেয়ার করলেন জ্যোতি
মেয়েদের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির গৌরব অর্জন করেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। শনিবার রাজশাহীতে শুরু হওয়া মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)-এর প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি।
মেয়েদের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির গৌরব অর্জন করেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। শনিবার রাজশাহীতে শুরু হওয়া মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)-এর প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ দিনে, সোমবার, অপরাজিত ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেন মধ্যাঞ্চল দলের অধিনায়ক জ্যোতি। এই ইনিংসের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছেন।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকার পর, তৃতীয় দিনে নর্থ জোনের বিপক্ষে ১৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সেন্ট্রাল জোন অধিনায়ক। প্রায় ৭ ঘণ্টা ক্রিজে থেকে ২৫৩ বল খেলে ২০টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কাও মারেন তিনি। এমন একটি ইতিহাস রচনার পর, সাফল্যের চাবিকাঠি সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন জ্যোতি।
১৯৯৭ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে সাউথ কনফারেন্সের বিপক্ষে ১০২ রান করেছিলেন আল শাহরিয়ার রোকন, যা ছিল বাংলাদেশের ছেলেদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি। ২৬ বছর পর, জ্যোতি মেয়েদের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রোকনের পাশে স্থান পেয়েছেন।
এই সেঞ্চুরির পর, জ্যোতি বলেন, "আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া, যে বড় একটি মাইলফলকের তৌফিক আমাকে দিয়েছেন। প্রথমবার তিন দিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা... আমি আমার প্রক্রিয়ায় ছিলাম। সেটি বাস্তবায়ন করতে পেরে খুব খুশি।"
সেঞ্চুরি করার আগে দ্বিতীয় দিনে ৮৫ রানে অপরাজিত অবস্থায় তার মধ্যে কি সেঞ্চুরির বিশ্বাস ছিল, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "গতকাল (রোববার) অনেকেই সেঞ্চুরি মিস করেছে। মাঠ ছাড়ার সময় জানলাম, আমার ৮৫ রান হয়েছে। অনেকেই বলছিল, সেঞ্চুরি সম্ভব। আমিও ভাবলাম, আরেকটু ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করলে সেঞ্চুরি করা যাবে। (সোমবার) সকাল থেকে সেটাই ছিল চেষ্টা, স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলার। আমার ভেতরে বিশ্বাস ছিল যে, আমি এটা করতে পারব। তো হয়ে গেছে।"
জ্যোতি আরও বলেন, "প্রথম ইনিংসে (ফারজানা হক) পিংকি আপু অনেক ধৈর্য সহকারে ব্যাটিং করেছেন। ইশমা (তানজিম) খুব ভালো ব্যাটিং করছিল। তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, এভাবে আসলে (লাল বলের) ক্রিকেট খেলা উচিত। আমার তো একদম অভিজ্ঞতা ছিল না। তাদের ব্যাটিং দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। অন্য ম্যাচের ব্যাটারদেরও দেখছিলাম, তারা সময় নিয়ে ব্যাটিং করেছে। কোচ থেকেও নির্দেশনা ছিল যে, লঙ্গার ভার্শন ধৈর্যের খেলা, যতটা সম্ভব সময় নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে। সেটাই চেষ্টা করেছি।"
এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে নিগার সুলতানা জ্যোতি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন, যা ভবিষ্যতে অন্যান্য খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করবে।
What's Your Reaction?