র্যাব-পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
র্যাব ও পুলিশের নির্যাতনের ফলে চিরজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাত সাবেক নেতাকর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। রোববার পৃথকভাবে এই অভিযোগ করা হয়। এদের মধ্যে একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তির পক্ষে তার ভাই লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
র্যাব ও পুলিশের নির্যাতনের ফলে চিরজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাত সাবেক নেতাকর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। রোববার পৃথকভাবে এই অভিযোগ করা হয়। এদের মধ্যে একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তির পক্ষে তার ভাই লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগের বিবরণ
ভুক্তভোগীদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. আমানুল্লাহ আল জিহাদী (আদীব) জানান, গুম, নির্যাতন এবং পঙ্গুত্বের মতো অমানবিক ঘটনায় জড়িত র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগকারীদের পরিচয়
ট্রাইব্যুনাল ও ভুক্তভোগী পক্ষের আইনজীবীরা জানান, অভিযোগকারীরা হলেন:
- মো. জনি ইসলাম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের কর্মী। মতিহার থানার বিনোদপুর বাজারের বাসিন্দা। পা হারিয়েছেন।
- মো. আব্দুল করিম: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছাত্রশিবিরের কর্মী।
- আলমগীর হোসেন: বগুড়ার শেরপুরের সাবেক শিবির কর্মী, নির্যাতনে পঙ্গু।
- দেলোয়ার হোসেন মিশু: নোয়াখালীর বাসিন্দা, নির্যাতনে একটি চোখ হারিয়েছেন।
- সাইফুল ইসলাম তারেক: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সাবেক কর্মী, পঙ্গু।
- নুরুল আমিন: গুলশান-ভাটারা থানা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি।
- মো. কামারুজ্জামান: ঝিনাইদহের রতনহাট এলাকার ইউনিয়ন শিবিরের সাবেক সভাপতি।
আইনজীবীর বক্তব্য
আইনজীবী জিহাদী জানান, গুম, নির্যাতন ও অঙ্গহানির মতো ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগের গুরুত্ব
এই অভিযোগগুলো দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করবে। ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হলে এই ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচিত হতে পারে।
What's Your Reaction?