সাকিব কি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে পারবেন?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আর এক মাসের মতো সময় বাকি, এবং দল গুছিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। সকল দলই এই প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বাংলাদেশও এই পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের সামনে একটি বড় প্রশ্ন রয়েছে, তা হলো সাকিব আল হাসান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্য দলের অংশ হবেন কি না।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আর এক মাসের মতো সময় বাকি, এবং দল গুছিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। সকল দলই এই প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বাংলাদেশও এই পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের সামনে একটি বড় প্রশ্ন রয়েছে, তা হলো সাকিব আল হাসান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্য দলের অংশ হবেন কি না।
বাংলাদেশ ও সাকিব উভয়েরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবকে খেলানোর ইচ্ছা রয়েছে, তবে বিষয়টি এতটা সহজ নয়। সাকিবকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে, এমনটা আবারও জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।
সাকিবের এই অনিশ্চিত পরিস্থিতির কারণ তার রাজনৈতিক যোগসূত্র। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব। পরবর্তীতে জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর এমপি পদ হারান তিনি এবং এরপর থেকে অনেক আওয়ামী লীগ নেতার মতো তিনিও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
এই কারণেই সাকিব দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা থাকলেও সেটা খেলতে পারেননি, আর বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলা হচ্ছে না তার। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হওয়ায় বিদেশে হওয়ায় দেশে ফিরে আসার বিষয়টি আর সমস্যা নয়, ফলে বিসিবি আশাবাদী যে সাকিবকে দলে নেওয়া সম্ভব হবে।
ফারুক আহমেদ বলেন, "চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিদেশে হওয়ায় বিষয়টি এখন অনেকটা সহজ। আমাদের মনে হয়, বিপিএল শেষ হওয়ার পর নির্বাচকদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।"
তিনি আরও বলেন, "সাকিব এখনও অবসর নেননি। যদি অবসর নিয়ে থাকতেন, তাহলে বলতাম তিনি আর নেই। নির্বাচকদের কাছে দল গঠনের আগে পলিসি জানতে হবে। আমরা সাকিবকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আরেকবার চেষ্টা করব। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
সাকিব নিজেও তার ফিরে আসার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছেন। ফারুক বলেন, "সাকিব মাঝে মাঝে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে, কীভাবে সমস্যাগুলি সমাধান করা যায় তা নিয়ে। সরকারি পর্যায় থেকে যদি কোনো নির্দেশনা আসে এবং তার সমস্যা সমাধান হয়, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।"
তবে সাকিবের খেলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে, যা বিসিবি সভাপতির কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলেন, "এটা হওয়ার পর নির্বাচক কমিটি তার ফিটনেস, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি দেখবে।"
সাকিবের চোখের সমস্যা থেকে তার ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রভাব পড়েছে, এবং বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তনের পর কতটা কার্যকরী হবেন, সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া, সাকিবের মানসিক অবস্থানও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ শেষ উইন্ডিজ সিরিজে তিনি খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। ফলে, সরকার থেকে সবুজ সংকেত পেলে সাকিব কি দলে জায়গা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত আছেন, তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন থেকে যায়।
What's Your Reaction?