ব্যবসায়ী হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
সাভারের হেমায়েতপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মোশাররফ হোসেন মুসা নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় তার ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সাভারের হেমায়েতপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মোশাররফ হোসেন মুসা নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় তার ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আজ রবিবার সকালে মোশাররফকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) জালাল উদ্দীন। শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোশাররফ হোসেন বিগত সরকারের আমলে ঢাকা জেলার আন্তঃজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তিনি নিজেকে বিএনপি নেতা বলে দাবি করছিলেন, যদিও তার কোনো নির্দিষ্ট পদপদবী পাওয়া যায়নি।
মোশাররফ সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার মৃত শাহজাহান ব্যাপারীর ছেলে। এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, মোশাররফ হোসেনের গাড়ি চালক মো. লিটন (৩০), একই এলাকার মৃত শাহজাহান ব্যাপারীর ছেলে মো. রাকিব হোসেন (৩০) ও মো. সজল (২৫) সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রমজান মিয়া সাভারের হেমায়েতপুরের মৃত হোসেন আলী খাঁনের ছেলে। তিনি গ্লোব কোম্পানির পরিবেশক হিসেবে ব্যবসা করে আসছেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী রমজান মিয়া সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় "মোরছালিন ভ্যারাইটিস স্টোর" নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছিলেন। কিছুদিন ধরে মোশাররফ হোসেন ও তার বাহিনী ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দিলে, ৩১ ডিসেম্বর রাতে রমজানকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোশাররফের অফিসে নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করে। এসময় রমজানের পকেট থেকে ১ লাখ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় মোশাররফ।
বাকি ১ লাখ টাকা দাবি করতে গিয়ে রমজানকে হেমায়েতপুরের গ্রীন সিটি সংলগ্ন মোশাররফের অফিসের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাত ৪টা পর্যন্ত পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে মোশাররফ তার হাতে থাকা অস্ত্র বের করে রমজানের পাশে গুলি করে। এরপর রমজানকে হেমায়েতপুর ভাঙা ব্রিজের পাশে ফেলে চলে যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় রমজানের ভাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে মোশাররফসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রমজান। অভিযানের পর, বিএনপি নেতা দাবি করা মোশাররফকে গ্রেফতার করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, মোশাররফের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তার গ্রেফতারে হেমায়েতপুরে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
What's Your Reaction?