খালেদা জিয়ার নামে স্কুল নামকরণ করে বেপরোয়া চাঁদাবাজি
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) ইব্রাহিম খলিলের ভাই হুমায়ুন কবির 'জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক' হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তার করছেন। এছাড়া, তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত 'নূরজাহার আইডিয়াল' স্কুলের নাম পরিবর্তন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। স্কুলটি বিষখালী নদীর পাড়ে, মোকামিয়া খালগোড়া এলাকায় অবস্থিত।
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) ইব্রাহিম খলিলের ভাই হুমায়ুন কবির 'জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক' হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তার করছেন। এছাড়া, তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত 'নূরজাহার আইডিয়াল' স্কুলের নাম পরিবর্তন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। স্কুলটি বিষখালী নদীর পাড়ে, মোকামিয়া খালগোড়া এলাকায় অবস্থিত।
হুমায়ুন কবির আরও অভিযোগের শিকার হয়েছেন যে, তিনি রাজনৈতিকভাবে নানা প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন এবং এসব সম্পর্কের মাধ্যমে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অপব্যবহার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ জমা পড়েছে। বিশেষত, আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক এবং সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, একাধিক ভুক্তভোগী তাকে চাঁদা দিতে বাধ্য হয়েছেন এবং এসব কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ অবস্থা সম্পর্কে অস্বস্তিতে রয়েছে।
এই বিষয়ে বরগুনার এসপি ইব্রাহিম খলিল জানান, তার ভাইয়ের কার্যক্রমে তিনি ব্যক্তিগতভাবে কখনো অংশ নেননি এবং সেসব থেকে বিরত থাকেন। তিনি আরও বলেন, "আমার জন্য এখানে পোস্টিংটি বিব্রতকর। আমি সব বিষয়েই তাকে এড়িয়ে চলি।"
হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ বিভিন্ন মহল থেকে এসেছে। অভিযোগকারীরা জানান, তিনি রাজনৈতিকভাবে নানা তৎকালীন নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে নিজেদের পকেট ভারি করেছেন। একসময় বিএনপি শাসনামলে তার প্রতিষ্ঠিত 'জিয়া শিশু একাডেমি' দিয়ে তিনি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলেছিলেন। তবে, ২০০৮ পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে তার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালে এসে তিনি আবার 'নূরজাহান আইডিয়াল' স্কুলের নাম পরিবর্তন করে 'খালেদা জিয়া গার্লস স্কুল' রেখে উদ্বোধনের কাজ শুরু করেন।
এদিকে, হুমায়ুন কবির অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে এক মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং তিনি নিজেকে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জিত মনে করছেন। তবে, এলাকার মানুষের মধ্যে তার কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে এবং তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?