মোজাম্বিকে তিন শতাধিক বাংলাদেশির দোকান লুটপাটের ঘটনা
দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশিদের প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে।
**মোজাম্বিকে জাতীয় নির্বাচনের পর সহিংসতায় লুটপাট-ভাঙচুর, বাংলাদেশিদের ক্ষতি প্রায় ৩০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান**
দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশিদের প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে।
সোমবার নির্বাচনের ফলাফল পুনরায় ঘোষণা করা হলে, পুরো মোজাম্বিকে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিকাল থেকে শুরু হয় লুটপাট, ভাঙচুর এবং জ্বালাও-পোড়াও। এক রাতের মধ্যে দেশের প্রতিটি শহর ও গ্রামে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে বাংলাদেশিদের প্রায় দুই শতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে।
বিশেষত সোমবার রাতে রাজধানী মাপুতো, বোয়ানি ও সিমুই শহরে সবচেয়ে বেশি লুটপাট ও ভাঙচুর হয়। এ সময় বাংলাদেশিদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোজাম্বিকে ব্যবসা করা মাওলানা শামসুল হক, আব্দুল আজিজ, আ. হানান, সুলতান আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, আব্দুল আলিমসহ হাজারো বাংলাদেশি এক রাতেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বর্তমানে দেশটিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এ ঘটনায় মোস্তফা মিয়া ও ইব্রাহিম আহমেদ নামে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আহত ইব্রাহিম আহমেদ বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সারাদিনে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতায় দেশটির মাপুতো, সিমুই, বেইরা, নামপুলা, মুনফোলা, নাখালাসহ প্রায় সব শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি লুটপাট ও ভাঙচুর হয়েছে মাপুতো শহরে। পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মোজাম্বিকে বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ হাইকমিশন শাহ আহমেদ শফী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন এবং কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
What's Your Reaction?