জাহাজে সাত খুন: বাগেরহাট থেকে ইরফান আটক

চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচরে মেঘনা নদীতে সার বহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাতজন হত্যার ঘটনায় র‌্যাব আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে র‌্যাব-১১ তাকে আটক করেছে। 

Dec 25, 2024 - 06:17
 0  0
জাহাজে সাত খুন: বাগেরহাট থেকে ইরফান আটক
গ্রেফতার ইরফান।

চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচরে মেঘনা নদীতে সার বহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাতজন হত্যার ঘটনায় র‌্যাব আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে র‌্যাব-১১ তাকে আটক করেছে। 

র‌্যাব-১১ জানায়, এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে বিস্তারিত ব্রিফিং করা হবে। 

গতকাল দায়ের করা মামলায় জানা গেছে, জাহাজে মোট আটজন নয়, ৯ জন ছিল। এই ৯ নম্বর ব্যক্তি ছিলেন আকাশ মণ্ডল ইরফান, যাকে পরে গ্রেফতার করা হয়। কথা বলতে অক্ষম সুকানি মো. জুয়েল লিখে জানান, তার কাছে এই তথ্য আসে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ মামলা দায়ের করেন, এবং মামলায় অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। 

বাদী মামলার এজাহারে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার মো. সজিবুল ইসলাম, লস্কর মো. মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, সালাউদ্দিন, আমিনুর মুন্সী ও বাবুর্চি রানা কাজী। আহতদের মধ্যে আছেন সুকানি মো. জুয়েল। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আহত সুকানি জুয়েল গলায় আঘাত পাওয়ায় কথা বলতে পারছিলেন না, তবে ইশারায় তিনি বলেছেন যে, ডাকাত দলকে চিনবেন যদি সুস্থ হন। জুয়েল আরও জানিয়েছেন, জাহাজে ৯ জন ছিলেন এবং তাদের মধ্যে এক জন ইরফান ছিলেন, কিন্তু তার ঠিকানা তিনি দিতে পারেননি। 

ঘটনার পর পুলিশ জাহাজ পরিদর্শনকালে রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, ফোল্ডিং চাকু, স্মার্টফোন, বাটন ফোন, মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, বাংলা খাতা, সিল, হেডফোন, ভাত এবং তরকারি সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী জব্দ করেছে। 

নৌ-পুলিশ জানায়, আহত সুকানি মো. জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার সঙ্গে চিকিৎসাধীন আছেন। 

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সুমন জানান, জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ ৩৯৬ / ৩৯৭ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন, যার মামলা নম্বর ১৭ / ১৬৬। 

এদিকে, নিহত ছয়জনের লাশ মঙ্গলবার বিকালে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন ও নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। নিহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি জেলা প্রশাসন ২০ হাজার টাকার চেক এবং নৌপুলিশ নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেছে। তবে বাবুর্চি রানা কাজীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত না হওয়ায় তার লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow