ভারতের মণিপুর সীমান্তবর্তী চিন প্রদেশে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের দখল
বাংলাদেশ সীমান্তের রাখাইনের পর এবার ভারতের মণিপুরের পাশে অবস্থিত চিন প্রদেশের দখল নিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা। অং সান সু চি সমর্থিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট পরিচালিত সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, বর্তমানে চিন প্রদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অঞ্চল বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাংলাদেশ সীমান্তের রাখাইনের পর এবার ভারতের মণিপুরের পাশে অবস্থিত চিন প্রদেশের দখল নিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা। অং সান সু চি সমর্থিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট পরিচালিত সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, বর্তমানে চিন প্রদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অঞ্চল বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মিয়ানমারের চিন প্রদেশে জান্তা-বিরোধী লড়াই চালাচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী চিন ব্রাদারহুড। তাদের সমর্থন করছে আরাকান আর্মি।
ইরাবতীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিন ব্রাদারহুডের মুখপাত্র ইয়াও ম্যাং বলেন, তারা দক্ষিণ চিন প্রদেশকে জান্তার কবল থেকে মুক্ত করেছে। বর্তমানে প্রদেশের উত্তর দিকের ফালাম এলাকায় কিছু জান্তা বাহিনী অবস্থান করছে এবং সেখানে হামলা চালানো হচ্ছে। চিন ব্রাদারহুডের অধীনে রয়েছে ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স, ইয়াও আর্মি, মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ আরও তিনটি সশস্ত্র সংগঠন।
তিনি জানান, দক্ষিণ চিন প্রদেশের রাজধানী হাকহা, ফালাম, টেদিম এবং থান্টলাঙ শহরগুলিতে কিছু জান্তা বাহিনী রয়েছে, তবে পালেতোয়া, মাটুপি, কানাপেলেট, মিন্দাত এবং টোনজাং শহরগুলোতে জান্তা বাহিনীর সম্পূর্ণ পতন ঘটেছে। এর পাশাপাশি মিন্দাত থেকে ১৩ জন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তির খবরও জানিয়েছে চিন ব্রাদারহুড।
চিন ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাখাইনের আরাকান আর্মি তাদের অস্ত্র, গোলাবারুদ, রসদ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এদিকে, গত শুক্রবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আঞ্চলিক সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের দাবি করেছে রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
এ ঘটনায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা দ্বিতীয়বারের মতো আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
What's Your Reaction?