পঞ্চগড়ে তীব্র শীতের মাঝে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে
হিমশীতল বাতাসের কারণে পঞ্চগড়ের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে। এই জেলায় ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যার ফলে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিসগুলোর অধিকাংশ জায়গায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। সন্ধ্যা হলেই মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ছেন।
হিমশীতল বাতাসের কারণে পঞ্চগড়ের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে। এই জেলায় ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যার ফলে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিসগুলোর অধিকাংশ জায়গায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। সন্ধ্যা হলেই মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ছেন।
গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। দিনের বেশিরভাগ সময় আকাশ কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে, আর এর মধ্যে শুরু হওয়া শীতল বাতাসে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার।
এর আগে, বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ছে। এসব রোগীদের বেশিরভাগই শিশু এবং বৃদ্ধ, যাদের মধ্যে যারা বেশি অসুস্থ হচ্ছেন, তারাই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার অবস্থান হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, পাশাপাশি একাধিক মৃদু শৈত্য প্রবাহও থাকতে পারে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কনকনে শীত অনুভূত হলেও আজ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
What's Your Reaction?