চালের দাম কেজিতে ১১ টাকা বেড়েছে, অভিযোগের তীর কার দিকে?
ঈশ্বরদীর জয়নগর চালের মোকামে গত এক মাসে কেজি প্রতি চালের দাম ১০ থেকে ১১ টাকা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে বাসমতি চালের ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২১০০ টাকায় এবং প্রতি কেজি ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়, অন্যদিকে মিনিকেট চালের ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকায়, যার প্রতি কেজি দাম পড়ছে ৭২ থেকে ৭৪ টাকা।
ঈশ্বরদীর জয়নগর চালের মোকামে গত এক মাসে কেজি প্রতি চালের দাম ১০ থেকে ১১ টাকা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে বাসমতি চালের ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২১০০ টাকায় এবং প্রতি কেজি ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়, অন্যদিকে মিনিকেট চালের ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকায়, যার প্রতি কেজি দাম পড়ছে ৭২ থেকে ৭৪ টাকা।
এ দুই জাতের চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১১ টাকা বেড়েছে, যা ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ভোক্তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বরদী উপজেলা ধান-চাল মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলমত হায়দার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার ১৪টি অটো রাইচমিল রয়েছে, এর মধ্যে মাত্র তিনটি মিল মালিকরা পরিচালনা করেন। বাকিগুলো ছোট ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে চাল তৈরি করে বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে থাকেন। ঈশ্বরদী অঞ্চলের চাল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, দুলাল সরদার, এবং শুটকা বিশ্বাস তাদের মিলগুলোতে ধান ভাঙ্গানোর কাজ করেন।
পাবনা জেলা অটো রাইচমিল মালিক সমিতির সভাপতি দুলাল সরদার জানান, ধানের দাম এবার বেশি হওয়ায় মিলগুলো চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে এবং প্রতি মন ধানের দাম গড়ে ২০০ টাকা বেড়েছে, যার ফলে চালের দামও বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার চালের ক্রয়মূল্য ৪৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করেছে, তবে বাজারে চালের দাম অনেক বেশি, ফলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়া, ভারত থেকে চালের আমদানি কমে যাওয়ার কারণে বাজারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এদিকে, বড় বড় কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার কারণে, সাধারন ব্যবসায়ীদের অবস্থাও এখন দুর্বল। এখন সাধারণ মানুষদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে চাল কেনার জন্য, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জনগণের জন্য বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।
What's Your Reaction?