আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের ১৮ বছর পূর্ণ আজ

আজ ১১ জানুয়ারি। বাংলাদেশে এই দিনটি ‘ওয়ান-ইলেভেন’ নামে পরিচিত। ২০০৭ সালের এই দিনে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠনসহ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তৈরি হওয়া অনাস্থার প্রেক্ষাপটে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।

Jan 11, 2025 - 06:46
 0  0
আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের ১৮ বছর পূর্ণ আজ

আজ ১১ জানুয়ারি। বাংলাদেশে এই দিনটি ‘ওয়ান-ইলেভেন’ নামে পরিচিত। ২০০৭ সালের এই দিনে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠনসহ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তৈরি হওয়া অনাস্থার প্রেক্ষাপটে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বিকালে জরুরি অবস্থা জারি করার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ছিল বৃহস্পতিবার, এবং সেদিন পুরো বাংলাদেশে নানা গুজব এবং গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। সার্বিক পরিস্থিতি ছিল থমথমে। ওই দিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে সেনা সদরে এক বৈঠক করেন।

রাত সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনে উপদেষ্টাদের ডাকা হয় এবং তাদের পদত্যাগের অনুরোধ জানানো হয়। এর পরই রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করেন এবং উপদেষ্টারাও পদত্যাগ করেন। 

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং রাতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর পরই ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং তিনি নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন।

এর আগে, ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ।

ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টির প্রাক্কালে সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। তিনি এক অনুষ্ঠানে ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির দিনটিকে ‘ওয়ান-ইলেভেন’ বা ‘১/১১’ নামে আখ্যায়িত করেন।

জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়। তবে, রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্নভাবে আন্দোলন গড়ে ওঠে এবং তা একপর্যায়ে রাজপথে পৌঁছায়। পরিস্থিতি বোঝার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে এবং ঘরোয়া রাজনীতির অনুমতি দেয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow