২০০ বছর আগে এইচএমপিভি আক্রান্ত করেছিল

কোভিড পরবর্তী সময়ে যখন বিশ্ব কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছিল, তখন নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস)।

Jan 7, 2025 - 06:41
 0  1
২০০ বছর আগে এইচএমপিভি আক্রান্ত করেছিল

কোভিড পরবর্তী সময়ে যখন বিশ্ব কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছিল, তখন নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস)। সম্প্রতি চীনে শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং ভারতেও কয়েকজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসটি সর্দি-কাশির মতো উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটানোর পাশাপাশি ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণের কারণও হতে পারে। তবে এটি প্রথমবার নয়, ২০০ বছর আগে এই ভাইরাস আক্রমণ চালিয়েছিল এবং সর্বশেষ ২০০১ সালেও দেখা দিয়েছিল।

এইচএমপিভি ভাইরাসের উপসর্গ সাধারণ ফ্লু ভাইরাসের মতোই। বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০০ বছর আগে ভাইরাসটি আবিষ্কার করেন। ২০০১ সালে এটি আবারও দেখা দেয়, তবে তখন খুব বেশি গবেষণা হয়নি এবং বিশেষজ্ঞরা খুব একটা গুরুত্ব দেননি। তখন কোনো ভ্যাকসিনও তৈরি হয়নি। এখন, প্রায় ২৪ বছর পর আবার ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে এবং করোনা পরবর্তী সময়ে এটি মানুষের মধ্যে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

এইচএমপিভি একটি আরএনএ ভাইরাস, যা সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। বিজ্ঞানীদের মতে, সারা বছরই এই ভাইরাসের উপস্থিতি থাকে, তবে শীত এবং বসন্তের মৌসুমে এটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর চরিত্র কিছুটা করোনা ভাইরাসের মতো, কারণ এটি হাঁচি এবং কাশি মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রথমে শ্বাসযন্ত্রকেই আক্রান্ত করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে।

২০০১ সালে যখন প্রথম এই ভাইরাসটি দেখা দেয়, তখন এর প্রভাব ততটা মারাত্মক ছিল না। সর্দি, কাশি এবং জ্বরের মতো মৃদু উপসর্গ দেখা গেলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে এখন ভাইরাসটির ব্যাপকতা কিছুটা বেশি হয়ে উঠেছে, যা মানুষকে আতঙ্কিত করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভির উপসর্গ ততটা জটিল নয়। এর সংক্রমণে শুকনো কাশি, জ্বর, হালকা নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সিওপিডি রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে এবং ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণও প্রকাশিত হতে পারে। বয়স্কদের শরীরে ভাইরাসটির প্রভাব কিছুটা বেশি পড়তে পারে, তবে আপাতত বড় ধরনের ঝুঁকি নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow