যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি বাস্তবায়নে ‘কাছাকাছি অবস্থানে’ হামাস ও ইসরাইল
ইসরাইলের সঙ্গে কিছু অমীমাংসিত বিষয় পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। হামাসের সূত্র কাতারি সংবাদপত্র আল-আরাবি আল-জাদিদকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে হামাসের শর্ত, যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হতে হবে।
ইসরাইলের সঙ্গে কিছু অমীমাংসিত বিষয় পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। হামাসের সূত্র কাতারি সংবাদপত্র আল-আরাবি আল-জাদিদকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে হামাসের শর্ত, যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হতে হবে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের এই নতুন বার্তা ইসরাইলের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করেছেন। যুদ্ধ শেষ করতে চলছে নিবিড় কূটনীতি, পাল্টাপাল্টি প্রস্তাব চালাচালি, যেখানে সব পক্ষই নিজেকে বিজয়ী দেখাতে চাইছে এবং লাভবান হতে চাচ্ছে।
এছাড়া, কায়রো ইসরাইলি বাহিনীকে গাজা-মিশর সীমান্তের ফিলাডেলফি রুট থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে নমনীয়তা দেখিয়েছে, যা পরবর্তী পর্যায়ে সম্পন্ন হবে।
ফিলাডেলফি করিডোরটি গাজার স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরাইলের অনুমতি ছাড়া গাজার মধ্যে কিছু ঢুকতে না পারে, এমন উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল। গাজার দক্ষিণের এই করিডোর ফের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছে ইসরাইল, এবং একই ধরনের নতুন বাফার জোন সৃষ্টি করতে চাইছে উত্তরেও। তবে হামাস এর প্রতি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা শুরুর পর থেকে হামাস এবং ইসরাইল এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে’ রয়েছে। হামাস এবং মধ্যস্থতাকারীরা আশা করছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইল তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেবে। তবে, ইসরাইল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা এমন কোনো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না যা তাদের যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে বাধা দেবে, কারণ তারা তিন পর্বের চুক্তির অধীনে যুদ্ধের অধিকার নিশ্চিত করতে চায়।
What's Your Reaction?