৫ মাস পর ইসরাইল স্বীকার করলো, ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনা
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাবেক রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইল। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাবেক রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইল। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
ইসমাইল হানিয়াকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শুরু থেকেই ইরান এবং হামাস ইসরাইলকে দায়ী করে আসছিল, তবে এতদিন ইসরাইল বিষয়টি স্বীকার করেনি।
নিহত হওয়ার সময় হানিয়া তেহরানের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালার কক্ষে অবস্থান করছিলেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের কর্মকর্তারা কয়েক সপ্তাহ আগে ওই কক্ষে একটি বোমা স্থাপন করেছিলেন। সেই বোমার বিস্ফোরণেই হানিয়ার মৃত্যু হয়। হত্যার একদিন আগে হানিয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন, "আজ যখন হুথি সন্ত্রাসীরা ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে, আমি তাদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই—আমরা হামাসকে পরাজিত করেছি, হিজবুল্লাহকে পরাজিত করেছি, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুতর ক্ষতি করেছি, সিরিয়ার আসাদ সরকারকে উৎখাত করেছি, এবং শত্রুদের শক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর আঘাত করেছি।"
তিনি আরও বলেন, "এখন আমরা ইয়েমেনে হুথি সন্ত্রাসী সংগঠনকেও আঘাত করব, যা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা হুথির নেতৃত্বকে হত্যা করব, যেমনটা আমরা তেহরান, গাজা ও লেবাননে ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং হাসান নাসরুল্লাহর ক্ষেত্রে করেছি। এবার হোদেইদা এবং সানায়ও একইভাবে কাজ করা হবে।"
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলের বোমা হামলায় নিহত হন সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। তারপর ১৬ অক্টোবর ইসরাইল হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে গাজা উপত্যকায় হত্যা করে।
এছাড়া, গত সেপ্টেম্বরে লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান আরো বিস্তৃত হয়। গত ১৫ মাসে ইসরাইল বোমা হামলা, গুপ্তহত্যা ও অন্যান্য কৌশলের মাধ্যমে ইরান সমর্থিত সংগঠনগুলোর নেতাদের হত্যার মিশনে যুক্ত ছিল। এর মধ্যে ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং হাসান নাসরুল্লাহর মতো নেতাদের হত্যাও রয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডগুলো ইসরাইলের জন্য একটি ধারাবাহিক কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার লক্ষ্য মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর শক্তি কমানো।
What's Your Reaction?