খালেদের গুম বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান নিখোঁজ থাকার চার দিন পর অবশেষে তার সন্ধান পাওয়া গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান নিখোঁজ থাকার চার দিন পর অবশেষে তার সন্ধান পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। তিনি জানান, খালেদ হাসানকে গুম করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আব্দুল কাদের বলেন, "খালেদ ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। আমি যখন তার সঙ্গে একান্তে কথা বলি, সে তখন আমাকে তার গুম হওয়ার ঘটনা জানায়।"
খালেদের ভাষ্যমতে, গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে রিকশায় করে দোয়েল চত্বরের দিকে যাওয়ার সময় তিনি হঠাৎই জ্ঞান হারান। এরপর যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পান, তখন নিজেকে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে মাইক্রোবাসে দেখতে পান। তার সঙ্গে আরও ২-৩ জন ছিল। এরপর আবারও তিনি জ্ঞান হারান।
দ্বিতীয়বার যখন খালেদ জ্ঞান ফিরে পান, তখন নিজেকে পঞ্চগড়ের কোনো একটি স্থানে দেখতে পান। তখনও মাইক্রোবাস চলছিল। তৃতীয়বার মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) তার জ্ঞান ফিরে আসে এবং তিনি নিজেকে বরিশালের একটি রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে কেউ একজন গাড়িতে তুলে ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
আব্দুল কাদের আরও বলেন, "খালেদের মানসিক অবস্থা ভালো নয়, সে কাউকে কিছু বলতে পারছে না। আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।"
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ জানিয়েছেন, তিনি খালেদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তবে খালেদ কিছু বলতে চাইছিলেও ভয়ের কারণে বলতে পারছেন না। "খালেদ খুব দুর্বল দেখাচ্ছে," বলেন ড. ফারুক। "ডাক্তার দেখানোর পর তার ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।"
প্রধান প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, "খালেদ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলে সে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানাতে পারবে।"
What's Your Reaction?