সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য আজ থেকে অস্থায়ী পাশ, স্থায়ী পাশ কবে পাওয়া যাবে?
আজ থেকে আগামী ১৫ দিন অস্থায়ী পাশ নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন সাংবাদিকরা। এর পরপরই তারা স্থায়ী পাশ নিয়ে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। রোববার দুপুর দেড়টায় তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আজ থেকে আগামী ১৫ দিন অস্থায়ী পাশ নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন সাংবাদিকরা। এর পরপরই তারা স্থায়ী পাশ নিয়ে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। রোববার দুপুর দেড়টায় তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে প্রবেশ করে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী থেকে একই তথ্য শোনে। পরে বিকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসার সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) তথ্যবিবরণী দিয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘আবেদনের ভিত্তিতে নীতিমালা অনুযায়ী নতুন করে স্থায়ী পাশ দেওয়া হবে। আগামীকাল (আজ) থেকে অস্থায়ী পাশ প্রদান শুরু হবে। কাল-পরশু থেকে স্থায়ী পাশের আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কাল থেকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক সাংবাদিক সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই কাজ করবে। আজ (রোববার) ১৬০ থেকে ১৭০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে, সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হতে পারে, তবে যতটা সম্ভব সীমিত রাখা হবে।’’
তথ্য উপদেষ্টা আরও জানান, ‘‘সাংবাদিকদের কার্ড সংখ্যা কমিয়ে আনার বিষয়ে ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে তিন হাজারেরও বেশি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড রয়েছে, কিন্তু সবাই সাংবাদিক নন। কিছু পত্রিকা বা নামমাত্র পত্রিকার মাধ্যমে কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল, যা এখন পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘এগুলো ভুয়া হতে পারে, তাই আমরা কিছুটা সময় নিচ্ছি পুনঃমূল্যায়নের জন্য। আমরা আর তিন হাজারেরও বেশি কার্ড রাখতে পারব না।’’
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের কারণে সাংবাদিকসহ অন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাদের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এটি পরিকল্পিত হতে পারে, আবার সাবোটাজও হতে পারে। সে কারণে ভবিষ্যতে সচিবালয়ে এই ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।’’
এদিকে, তথ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ‘‘আগের যেসব দর্শনার্থী বা স্থায়ী পাশ ছিল, তারা গত ৪ মাসে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করেছেন। তাই পুরনো সব পাশ বাতিল হবে এবং নতুন করে পাশ সরবরাহ করা হবে।’’
এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ ২১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা জানতে পারেন, আগামী ১৫ দিন অস্থায়ী পাশ নিয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন এবং পরে স্থায়ী পাশের ব্যবস্থা করা হবে।
সেই সময় বিএসআরএফের অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্ণা রায়, উবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাহমুদ আকাশ, মো. রাকিব হাসান, মহসীনুল করিম লেব, আয়নাল হোসেন সহ আরও অনেকে।
এদিন সকাল থেকেই সচিবালয়ের পাশের পুলিশের সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে অস্থায়ী পাশ ইস্যু করা হচ্ছিল। দুপুরে সাংবাদিকদের ভিড় দেখা যায় সেখানে। এর আগে, শুক্রবার রাতে সচিবালয়ে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং সব ধরনের অস্থায়ী প্রবেশ পাশ বাতিল করা হয়। এর মধ্যে সাংবাদিকদের জন্য ইস্যু করা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডও বাতিল করা হয়, যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে জানানো হয়, শিগগিরই সাংবাদিকদের জন্য নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং তাদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পুনরায় ইস্যু করা হবে।
What's Your Reaction?