গভীর রাতে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ালেন তাড়াশের ইউএনও
কনকনে শীতে তীব্র ঠাণ্ডায় কাঁপছে সারা দেশ। বিশেষ করে উত্তরের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গরিব-দুঃখী মানুষের অবস্থা চরম খারাপ। এ সময় শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গভীর রাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) নিয়ে তাদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা।
কনকনে শীতে তীব্র ঠাণ্ডায় কাঁপছে সারা দেশ। বিশেষ করে উত্তরের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গরিব-দুঃখী মানুষের অবস্থা চরম খারাপ। এ সময় শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গভীর রাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) নিয়ে তাদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা।
এ বছর শীতবস্ত্রের বরাদ্দ কম হলেও, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায়, প্রকৃত অসহায়দের কাছে কম্বল বিতরণের জন্য তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।
শুক্রবার গভীর রাতে, হঠাৎ করেই তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ শাহ শরীফ জিন্দানী (রাহ.) এর মাজার চত্বরে অসহায় শীতার্তদের মাঝে নিজ হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
স্থানীয় জনসাধারণ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিজ হাতে এতিমখানা, লিল্লাহ বডিং, হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। কনকনে শীতের রাতে তার হাতে শীতবস্ত্র পেয়ে ছিন্নমূল, দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এ শীতবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা জানিয়েছেন, গ্রাম পর্যায়ে আরও শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করবেন।
শীতবস্ত্র পাওয়া একাধিক শীতার্ত ব্যক্তি বলেন, "এ সপ্তাহে শীত অনেক বেড়েছে, সুর্যের দেখা মিলছে না। ইউএনওর দেওয়া শীতবস্ত্র (কম্বল) আমাদের অনেকটাই সাহায্য করছে।"
What's Your Reaction?