ইসরাইলকে আরও ৮০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা প্রদান করছে যুক্তরাষ্ট্র

হোয়াইট হাউজে বর্তমানে মাত্র দুই সপ্তাহের মতো সময় বাকি রয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হওয়ার। এর আগেই মিত্র দেশ ইসরাইলের কাছে ৮ বিলিয়ন (৮০০ কোটি) ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা করেছে বাইডেন প্রশাসন।  

চুক্তি বিষয়ে কংগ্রেসকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছে এবং নতুন পরিকল্পনায় রয়েছে আর্টিলারি রকেট, বিমান হামলা ঠেকানোর যুদ্ধাস্ত্র, পাশাপাশি ৫০০ পাউন্ড বোমাও। 

৪ জানুয়ারি শনিবার টাইমস অব ইসরাইলের একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। 

মার্কিন সূত্রের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চুক্তির কিছু অংশ আমেরিকার সংরক্ষিত গোলাবারুদ থেকে সরবরাহ করা হতে পারে, তবে বেশিরভাগ অস্ত্র সরবরাহ করতে এক বছর বা তার বেশি সময় লাগবে। 

এ বিষয়ে অবহিত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার আইন মেনে ইসরাইল তার নাগরিকদের রক্ষা করার অধিকার রাখে, যা প্রেসিডেন্ট বাইডেন বহুবার স্পষ্ট করেছেন। তিনি আরও বলেন, ইরান এবং তার সমর্থক শক্তির আগ্রাসন প্রতিহত করার অধিকারও ইসরাইলের রয়েছে। 

এই চুক্তিটি সম্ভবত বাইডেন প্রশাসনের অনুমোদিত সর্বশেষ অস্ত্র বিক্রির চুক্তি হবে। তবে এর আগে হাউস এবং সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

গাজা যুদ্ধের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্র অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছে। জাতিসংঘে ইসরাইলের অধিকার নিয়ে সবচেয়ে বড় কন্ঠস্বর ওয়াশিংটন। মার্কিন অস্ত্র বিক্রির নতুন এই পরিকল্পনা গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে তুলবে।

যুদ্ধবিরতি আলোচনা বারবার ভেস্তে যাওয়ার ফলে গাজা যুদ্ধ বর্তমানে ১৫তম মাসে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, মোসাদ, শিন বেট ও সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের একটি দল কাতারে আলোচনা চালিয়ে যেতে অনুমোদন পেয়েছে।

তবে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা চেষ্টা চালালেও, দুপক্ষ এখনও একমত হতে পারেনি।