বাংলাদেশের মাটিতে আর ফ্যাসিবাদের স্থান হবে না: আনসারী
বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির স্থান হবে না—এমন মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সচিব ও বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি বলেন, "আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে কোনো আপস হলে, তা জুলাই বিপ্লবের শহীদদের প্রতি বেঈমানি হবে। এ দেশের ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।"
বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির স্থান হবে না—এমন মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সচিব ও বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি বলেন, "আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে কোনো আপস হলে, তা জুলাই বিপ্লবের শহীদদের প্রতি বেঈমানি হবে। এ দেশের ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।"
রোববার সিলেট সার্কিট হাউজে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই সভায় সিলেটের বিভিন্ন প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ সভাপতিত্ব করেন।
মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, "অনেকে অভিযোগ করছেন যে, দেশে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করে আছে। তবে, মীর মদন ও মোহনলালের মতো লোকেদের মধ্যে কিছু মীর জাফরের আনাগোনা কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না।"
তিনি সচিবালয়ে আগুন লাগানোর ঘটনার ব্যাপারে তদন্তে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, "সচিবালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকার কথা, সেখানে আগুনে সবকিছু পুড়ে যাওয়া, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠবে। বিষয়টি সঠিকভাবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।"
এছাড়া, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করে বলেন, "বাংলাদেশের সরকার প্রধান হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আর কোনো বাড়তি পাওনা নেই। তিনি জাতীয় প্রয়োজনে এগিয়ে এসে দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার 'থ্রি-জিরো থিওরি' বিশ্বের নানা দেশ গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘে তার বক্তৃতা বিশ্ব নেতারা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশ এ পদ্ধতিকে তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।"
মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, "বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের উচিত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো মহান ব্যক্তিকে সমর্থন দেওয়া, যেন তিনি দেশের উন্নয়ন পথে আরও সহায়তা করতে পারেন।"
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের কারণে বিপ্লব পরবর্তী সময় মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পায়। তাদের স্মরণ ও মূল্যায়ন করা উচিত।"
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এবং তারা জনগণের আস্থা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ১৫ বছরের পচা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে সরকারের প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া উচিত।"
সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজাউন নবী, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সাইফুল, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মহানগর নায়েবে আমির ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, সিলেটের অন্যতম ছাত্র সমন্বয়কারী দেলওয়ার হোসেন শিশির প্রমুখ বক্তৃতা দেন।
What's Your Reaction?