বিপদে তিশা, সহায়তার জন্য ছড়ানো হয়েছে ফোন নম্বর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে গত বছর ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়, এবং সেই সরকারে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এ মুহূর্তে ফারুকীর নির্মিত ‘৮৪০’ বা ‘ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’ সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে চলছে। এবার এটি মুক্তি পাচ্ছে টিভি পর্দায়। আগামীকাল ৩ জানুয়ারি দেশের তিনটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেখানো হবে এই রাজনীতিভিত্তিক স্যাটায়ার। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হন সিনেমার প্রযোজক ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

এটি ছিল তিশার প্রথম সিনেমার প্রযোজক হিসেবে কাজ করা। সিনেমার ব্যবসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটি দেখছে দর্শক, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা। ব্যবসার বিষয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তা করছি না, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সিনেমাটি যেন আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সিনেমার মুক্তির পর সিনেমা হলের পাশাপাশি দেশের তিনটি চ্যানেলে একদিনেই প্রচার হবে— এমন কিছু বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে ঘটেনি। দর্শকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিশা জানান, ৩ জানুয়ারি থেকে চ্যানেল আই, দীপ্ত টিভি এবং আরটিভি-তে সিনেমাটি সম্প্রচার করা হবে এবং ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। চ্যানেল আইতে রাত ৮:২০ মিনিটে, আরটিভিতে রাত ৮টায় এবং দীপ্ত টিভিতে রাত সাড়ে ১০টায় সিনেমাটি দেখা যাবে। এছাড়া, সিনেমার ভার্সন চলবে দেশের সিনেমা হলগুলোতে।

এ সময় তিশাকে প্রশ্ন করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের চিত্র নিয়ে তৈরি এই সিনেমার মুক্তির পর প্রযোজক হিসেবে কোনো হুমকি পেয়েছেন কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি হুমকি পেয়েছি। সিনেমার প্রচারের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে হুমকি আসছে এবং আমার ফোন নম্বরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিশা আরও বলেন, ‘আমি বলব, সিনেমা মুক্তির পর কী হয়েছে, কে কী বলেছে, সেগুলো মাথায় ধরে রাখলে চলবে না। সিনেমাটি দর্শক পছন্দ করছে—এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’

এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান, মিলন শেখ, আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিক রহমান, দীপ্ত টিভির সিইও তাসনুভা আহমেদ টিনা, এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন।