বছরের প্রথম দিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ২৩ ফিলিস্তিনি আরও
নতুন বছরের প্রথম দিনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনের ফলে গাজা উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫৫০ ছাড়িয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
নতুন বছরের প্রথম দিনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনের ফলে গাজা উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫৫০ ছাড়িয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
বুধবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম দিনে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে।
একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলের একটি ফাইটার জেট পূর্ব গাজার শেজাইয়া পাড়ার একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালালে দুই নারী ও তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হন।
এছাড়া, মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে ইসরাইল ড্রোন হামলা চালিয়েছে। মেডিকেল সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় এক নারী ও শিশুসহ কয়েকজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইসরাইলি বাহিনী বুরেইজ ও নুসেইরাত শিবিরের পূর্ব ও উত্তরাংশেও গোলাবর্ষণ করেছে, তবে এখানেও হতাহতের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরেকটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরের একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং শিশুসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় বেইট লাহিয়া এবং জাবালিয়ায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে।
দক্ষিণ গাজার পূর্ব খান ইউনিসের আল-ফুখারি এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামাসের ওই হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজায় ৪৫ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একাধিকবার যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়া হলেও, এখনও গাজায় শান্তির কোনো আভাস দেখা যাচ্ছে না। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।
What's Your Reaction?