ইমরান খানের সমর্থকদের সামরিক আদালতে বিচার, উদ্বেগ প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের
সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বেসামরিক সমর্থকদের সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করার পর যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বেসামরিক সমর্থকদের সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করার পর যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সোমবার, পাকিস্তানের সামরিক আদালত ২৫ জন ইমরান খানের সমর্থককে দুই থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এই ঘটনাটি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে এসেছে, যাতে বলা হয়েছে, আইন কখনো নিজের হাতে নেওয়া উচিত নয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, এসব সামরিক আদালতে বিচারিক স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার কোনও গ্যারান্টি নেই। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে ন্যায়বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অধিকার রক্ষা করার আহ্বান জানান।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, “যুক্তরাজ্য পাকিস্তানের আইনগত প্রক্রিয়ার ওপর সার্বভৌমত্বের সম্মান জানায়, তবে সামরিক আদালতে বেসামরিক নাগরিকদের বিচার করা স্বচ্ছতা এবং স্বাধীন মূল্যায়নের অভাব এবং ন্যায়বিচারের অধিকার পরিপন্থী।” এফসিডিও পাকিস্তান সরকারকে আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদ (আইসিসিপিআর) অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুখপাত্রও এই রায়গুলোর প্রতি তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে এবং সেগুলোকে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
ইইউ পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং জিএসপি+ সুবিধার মাধ্যমে ইউরোপের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তারা পাকিস্তানের সংবিধানে সংরক্ষিত ন্যায়বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অধিকারগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর এসব বিবৃতির বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ মে ইমরান খানকে আটকের প্রতিবাদে পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়, যার ফলে সামরিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
What's Your Reaction?