ভারতের হার, ১০ বছর পর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতল অস্ট্রেলি

ভারতের সামনে ছিল একটাই বিকল্প—এই ম্যাচটা জিতে সিরিজ ড্র করা। শিরোপা ধরে রাখতে এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছাতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এসে সব সমীকরণ তছনছ করে দিল। ৬ উইকেটের দারুণ জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

আজ সিডনিতে জয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ১০ বছর পর আবারও বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছে। ফলে, ভারত শুধু ট্রফিটা হারাল না, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেছে।

ভারত দিন শুরু করেছিল ১৪৫ রানের লিড নিয়ে, হাতে ছিল ৪ উইকেট। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া আর মাত্র ১৬ রানই যোগ করতে দিল সফরকারীদের। আগের দিন বল হাতে দুর্দান্ত বোলিং করা স্কট বোল্যান্ড ইনিংস শেষ করেন ৬ উইকেট নিয়ে, ফলে তার উইকেটসংখ্যা দাঁড়ায় ১০। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে সিরিজ জিততে ১৬২ রানের লক্ষ্য ছিল। 

এটা হয়তো ভারতের জন্য যথেষ্ট হতে পারতো, যদি অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরাহ বল হাতে তুলে নিতে পারতেন। তিনি আগের দিন মধ্যাহ্ন বিরতির সময় চোট পেয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বলই করতে পারেননি। পুরো সিরিজে ৩২ উইকেট তুলে নেওয়া বুমরাহর অভাব ভালোভাবেই অনুভব করেছে ভারত। অন্যরা চেষ্টা করলেও ১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।

অস্ট্রেলিয়া যখন জবাব দিতে নামল, তখন স্যাম কন্সটাসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু পায় তারা। ওপেনিং জুটিতে রান উঠে প্রতি ওভারেই ১০, ৩.৫ ওভারেই তারা ৩৯ রান তুলে ফেলে। কন্সটাসকে ফেরান প্রসিধ কৃষ্ণ, ১৭ বলে ২২ রান করা কন্সটাস ওয়াশিংটন সুন্দরের ক্যাচে পরিণত হন। এরপর কৃষ্ণ সেই স্পেলে ফিরিয়ে দেন মারনাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথকেও, যা ভারতের কিছু আশার সঞ্চার করেছিল।

তবে এরপর, উসমান খাজা ও ট্র্যাভিস হেডের ৪৬ রানের জুটিতে ভারতীয় আশার আলো নিভে যায়। খাজা পরে মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হন। কিন্তু হেড আর কোনো ভুল হতে দেননি। অভিষিক্ত বো ওয়েবস্টারের সঙ্গে ৫৩ বলের ৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি, আর সেই জুটিই অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে যায় জয়ী বন্দরে।

এই জয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া মাইকেল ক্লার্ক যুগের পর প্রথমবারের মতো বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলল।