কানাডাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'নতুন মানচিত্র' উন্মোচন করলেন ট্রাম্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক চমকপ্রদ মানচিত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ট্রাম্পের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডে নেটিজেনরা হাস্যরস সৃষ্টি করেন। এবার তার প্রকাশিত মানচিত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক চমকপ্রদ মানচিত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ট্রাম্পের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডে নেটিজেনরা হাস্যরস সৃষ্টি করেন। এবার তার প্রকাশিত মানচিত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার সামাজিকমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম "ট্রুথ সোশ্যালে" কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখানো এই মানচিত্রটি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি শুধু লিখেছেন, ‘ওহ কানাডা!’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনুযায়ী, ট্রাম্পের এই টুইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। তিনি একদিকে বিনোদন সৃষ্টি করছেন, অন্যদিকে বিতর্কও উসকে দিচ্ছেন।
কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একীভূত করার ইঙ্গিত দেওয়া এই টুইট নিয়ে দুই দেশের জনগণের মধ্যে একপ্রকার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই টুইটটিকে মজার ঠাট্টা হিসেবে দেখেছেন, আবার কিছুজন এটিকে একটি উত্তেজনাকর রাজনৈতিক বিবৃতি হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
কানাডার সরকারি কর্মকর্তারা এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি, তবে অনেক কানাডীয় নাগরিক সামাজিক মিডিয়ায় নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। কেউ কেউ ট্রাম্পের টুইটকে হাস্যকর মনে করেছেন, আবার কেউ এটিকে অসম্মানজনক এবং অতিমাত্রায় জাতীয়তাবাদী বলে সমালোচনা করেছেন।
গত বছর ডিসেম্বরের শুরুতে, ট্রাম্পের সাথে ফ্লোরিডায় দেখা করেছিলেন কানাডার পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ওই বৈঠকে ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, "কানাডা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে পারে।" যদিও এটি ছিল মূলত এক ধরনের হাস্যরস, তবে এর পেছনে ট্রাম্পের বাণিজ্য ও অভিবাসন বিষয়ক ক্ষোভও ছিল।
এরপর, ৭ জানুয়ারি, ট্রুডোর পদত্যাগের পর ট্রাম্প আবারও কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র একীভূত হওয়ার বিষয়টি সামনে আনেন। তিনি দাবি করেন, "কানাডার জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এক হতে চায়।" ট্রাম্পের ভাষ্য, "কানাডার ওপর শুল্কের চাপ বাড়ানো হবে, কারণ কানাডা দিয়ে অনেকেই আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করে।"
তিনি আরও বলেন, "কানাডার অনেক মানুষ ৫১তম রাজ্য হতে চাইছে। কানাডার বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সহ্য করতে পারবে না। জাস্টিন ট্রুডো এই কারণে পদত্যাগ করেছেন। কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একীভূত হয়, তাহলে সেখানে শুল্ক ও ট্যাক্স কমে যাবে এবং তারা রাশিয়া ও চীন থেকে আসা জাহাজের হুমকি থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এটি একটি মহান জাতি হয়ে উঠবে।"
এখনো পর্যন্ত ট্রাম্পের এই মন্তব্য নিয়ে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। তিনি ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে আসীন হতে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক পরিসরে তার চিন্তা-ভাবনা প্রচলিত রাজনীতিবিদদের থেকে ভিন্ন, এবং প্রায়শই হটকারি মন্তব্য ও বিদ্রুপাত্মক কথাবার্তা দিয়ে তিনি আলোচিত হন। অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ নিয়ে তার নীতি অত্যন্ত কট্টর, এবং কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি নিয়েও তার অবস্থান স্পষ্ট। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর কানাডার সাথে তার সম্পর্ক কেমন হবে, সেটি নিয়ে এখনো জল্পনা চলছে।
What's Your Reaction?