যুদ্ধবিরতি কার্যকর: যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের কমিটি লেবানন পরিদর্শন করল

যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখন শেষের দিকে। নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি ইসরাইল বা হামাস। 

তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দায়িত্বে থাকা কমিটির দুই প্রধান, মার্কিন সামরিক জেনারেল জ্যাসপার জেফার্স এবং ফরাসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গুইলাম মঙ্গলবার লেবানন সফর করেছেন। এই সময় তারা দক্ষিণ লেবাননের একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। 

বুধবার (৮ জানুয়ারি) টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে। 

মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মেজর জেনারেল জ্যাসপার জেফার্স এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গুইলাম পনচিন লেবানন সশস্ত্র বাহিনীর ৫ম ব্রিগেড সদর দপ্তর পরিদর্শন করেছেন, যা নাকোরা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরাইল যে দুটি শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে, এটি তার মধ্যে একটি। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, লেবানন সশস্ত্র বাহিনী অবিলম্বে রাস্তা পরিষ্কার, অবৈধ অস্ত্র অপসারণ এবং লেবাননের জনগণের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে সেনা মোতায়েন করেছে। 

স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিডআউট অনুযায়ী, জেফার্স এবং পনচিন পরিদর্শন করেছেন অবৈধ অস্ত্রের মজুদ, যা আগামী দিনগুলোতে ধ্বংস করা হবে। এই অস্ত্রগুলো লেবানন সশস্ত্র বাহিনী জব্দ করেছে, যেগুলো আগে অননুমোদিত সশস্ত্র গোষ্ঠীসমূহের কাছে ছিল। 

এসময় মার্কিন জেনারেল জেফার্স ইসরাইলের ছেড়ে যাওয়া শহরগুলোর পুনর্গঠনে লেবানন সশস্ত্র বাহিনীর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি জানান, লেবাননের সামরিক বাহিনী দেশটির জনগণকে নিরাপত্তা প্রদানে সক্ষম এবং অবৈধ সশস্ত্র হুমকি মোকাবিলা করতে পারবে। 

লেবাননে একাধিক যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই চলার পর, উত্তেজনা কমানোর জন্য ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ ২৬ নভেম্বর একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে। চলতি মাসের ২৬ জানুয়ারি এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। 

দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও, এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ এলাকায় সেনা অবস্থান করছে এবং সেখানে প্রায় প্রতিদিন বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।