জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট: খালেদা জিয়ার আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। এই শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। এই শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিনের শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন: জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ এবং অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন।
গতকাল, আদালত ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই মামলার আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দাবি করেছেন, হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়াকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা আইনের মারাত্মক ব্যত্যয়। তারা আরও বলেন, মামলায় বলা হয়েছে যে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে, কিন্তু সেই অর্থ এখনও সুরক্ষিত রয়েছে। তাদের দাবি, এই রায় মূলত খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর, খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে, খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করে, গত বছরের ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে, মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এ ছাড়া, মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ আরও পাঁচ আসামি ১০ বছর করে কারাদণ্ড পান, এবং প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, এবং জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং মমিনুর রহমান।
এরপর, খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে, খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া লিভ-টু আপিল করেন, যার শুনানি চলছে।
What's Your Reaction?