জুলাই বিপ্লবের প্রকাশ্য বিরোধিতাকারীদের নিয়ে এফডিসিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত
বিরোধী দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। তবে, দমন-পীড়নের মাধ্যমে হাসিনা গত ১৬ বছর ধরে তার শাসন জারি রেখেছিলেন। তবে সব শেষ হয়ে যায়। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
বিরোধী দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। তবে, দমন-পীড়নের মাধ্যমে হাসিনা গত ১৬ বছর ধরে তার শাসন জারি রেখেছিলেন। তবে সব শেষ হয়ে যায়। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবাদ হিসেবে রাস্তায় নামল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যা কোটাবিরোধী আন্দোলন দিয়ে শুরু হয়েছিল। গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে মারার পর আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। দেশে যখন পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী ছাত্রদের নির্বিচারে হত্যা করছিল, সাধারণ জনগণও প্রতিবাদে নেমে আসে।
এই মুহূর্তে হাসিনার পাশে এসে দাঁড়ান সিনেমা শিল্পের কিছু আওয়ামী সমর্থক ও সরকারের সুবিধাভোগীরা। তাদের মধ্যে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকসহ টেকনিশিয়ানরা ছিলেন। এবার সেই বিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ২০২৫-২৬ সালের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচন আন্দোলনের পক্ষের প্রতিবাদে পিছিয়ে যাওয়ার পর নতুন তারিখ ১০ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। এই নির্বাচন নিয়ে সংস্কৃতি অঙ্গনে বিতর্ক উঠেছে। অনেকেই বলছেন, যারা আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা আবার চলচ্চিত্র শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের নেতৃত্বে আসতে চাইছেন!
নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এক প্যানেলের নাম ‘সমমনা ঐক্য পরিষদ’, যার সভাপতি প্রার্থী মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে ছাত্র-জনতাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেন। অন্য প্যানেলটি ‘পাশে ছিলাম, পাশে আছি পাশে থাকব’ স্লোগানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যার সভাপতি পদে শাহীন সুমন এবং মহাসচিব পদে শাহীন কবির টুটুল।
এদিকে, নির্বাচনের তারিখ ১০ জানুয়ারি নির্ধারণের পর কিছু নির্মাতাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তারা মনে করছেন, এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ, যাতে শেখ হাসিনার সমর্থকরা আবারও সিনেমা শিল্পের নেতৃত্ব দখল করতে পারেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, গণহত্যার প্রকাশ্য সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনের আয়োজন বন্ধ করা উচিত।
What's Your Reaction?