জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি চলছে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি আজ (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের এই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি আজ (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের এই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আজকের শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এছাড়া, খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে উপস্থিত আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ এবং অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন।
অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।
এর আগে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। একই সঙ্গে, এই মামলার অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে, খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আপিলের পর, ১১ নভেম্বর, আপিল বিভাগ তার ১০ বছরের সাজা স্থগিত করে এবং লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি, খালেদাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই মামলায়, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং মমিনুর রহমান।
এর আগে, বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তাদের সাজা বাড়িয়ে খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া লিভ-টু আপিল করেন, যা বর্তমানে আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
What's Your Reaction?