নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, কিমের বার্তা ‘শত্রু’দের জন্য
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, সোমবার (৬ জানুয়ারি) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে একটি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রশান্ত মহাসাগরে প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, সোমবার (৬ জানুয়ারি) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে একটি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রশান্ত মহাসাগরে প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবরটি এনডিটিভি সূত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
কেসিএনএ-কে কিম জং উন বলেন, নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিশ্চিতভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রতিহত করবে, যা আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিম আরও জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়েছিল। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ১১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড্ডয়ন করেছে।
কিম জং উন বলেন, এটি একটি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ, কোনো আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা নয়।
এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) উত্তর কোরিয়া একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। সেই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সিউলে উপস্থিত ছিলেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোকের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পরই দুপুরের দিকে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
এটি ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রথম মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, এর আগে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর পূর্ব উপকূলে সাতটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।
What's Your Reaction?