গাজায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিরানন্দ ক্রিসমাস, যুদ্ধ শেষের প্রার্থনা
ঝলমলে আলো, উৎসবের সাজসজ্জা এবং বিশাল ক্রিসমাস ট্রি, যা কয়েক দশক ধরে গাজা শহরকে আলোকিত করেছিল, এখন আর সেখানে নেই। ইসরাইলের নিষ্ঠুর আগ্রাসনের কারণে বদলে গেছে গাজার দৃশ্যপট। উৎসবের পরিবেশও পাল্টে গেছে, এমনকি ক্রিসমাসের উদযাপনেও।
ঝলমলে আলো, উৎসবের সাজসজ্জা এবং বিশাল ক্রিসমাস ট্রি, যা কয়েক দশক ধরে গাজা শহরকে আলোকিত করেছিল, এখন আর সেখানে নেই। ইসরাইলের নিষ্ঠুর আগ্রাসনের কারণে বদলে গেছে গাজার দৃশ্যপট। উৎসবের পরিবেশও পাল্টে গেছে, এমনকি ক্রিসমাসের উদযাপনেও।
ইসরাইলের এক বছরের অবিরাম বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশিরভাগ ধ্বংস হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে, গাজা শহরের শত শত খ্রিস্টান মঙ্গলবার একটি গির্জায় জড়ো হয়ে যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
তাদের মধ্যে একজন, জর্জ আল-সায়েগ, যিনি কয়েক সপ্তাহ ধরে সেন্ট পোরফিরিয়াস গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন, বলেছেন, "এই ক্রিসমাস শুধু মৃত্যু এবং ধ্বংসের গন্ধ বহন করে। এখানে কোনো আনন্দ নেই, উৎসবের কোনো চেতনা নেই। আমরা জানি না, পরবর্তী ছুটির আগ পর্যন্ত আমরা কেউ বাঁচব কিনা।"
গত বছরের অক্টোবরের ইসরাইলি বিমান হামলায় ওই গির্জাটি ধ্বংস হয়েছিল, যেখানে ১৭ জন ফিলিস্তিনি খ্রিস্টান প্রাণ হারিয়েছিলেন।
গাজার প্রায় ১১০০ খ্রিস্টান বাস করেন, যারা ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির শিকার হচ্ছেন।
ভূখণ্ডের নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বিমান হামলায় বেশ কয়েকটি শিশু নিহত হয়েছে। এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে পোপ ফ্রান্সিস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রোববার সাপ্তাহিক অ্যাঞ্জেলাস প্রার্থনার পর পোপ বলেন, "আমি গাজার অবস্থা নিয়ে শোকাহত। এত নিষ্ঠুরতা, শিশুদের মেশিনগানের শিকার হওয়া, স্কুল এবং হাসপাতালে বোমা হামলা—এটা কী ভয়াবহতা!"
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার পোপের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং তাকে দ্বৈত মান দেখানোর অভিযোগ তুলে বলেছেন, "পোপের মন্তব্যের মধ্যে এক ধরনের দ্বৈত মান দেখানো হয়েছে।"
What's Your Reaction?