জিম্মি মুক্তির দাবিতে ইসরাইলে হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদ
গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মিদের উদ্ধার করতে একটি চুক্তি সইয়ের দাবিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মিদের উদ্ধার করতে একটি চুক্তি সইয়ের দাবিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মি মুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরাইল উভয় পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত একমত হতে পারেনি।
শনিবার হানুক্কার চতুর্থ রাতে হাজার হাজার মানুষ জিম্মি চুক্তি সমর্থনকারী সমাবেশ এবং দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। মিছিল শুরু হওয়ার আগে তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে কিছু জিম্মির পরিবার প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করেন।
জিম্মি নিমরোদ কোহেনের বাবা ইহুদা কোহেন দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি (ট্রাম্প) হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী বলে মনে করেন।
কোহেন বলেন, "প্রিয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, নেতানিয়াহু আপনাকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যুদ্ধের অবসান এবং সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বার্থে, আপনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন। একটি আংশিক চুক্তিতে আপস করবেন না, যা বাকি জিম্মিদের জন্য মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না।"
তিনি আরও বলেন, "যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং গাজার সামরিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার বিষয়ে নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনা সরকারে চরমপন্থীদের পক্ষে কাজ করছে, যা ইসরাইলের স্বার্থের পরিপন্থী।"
এদিকে, হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দখলদার সেনা প্রত্যাহার, যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় এবং বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে নতুন শর্ত আরোপ করেছে, যা বিদ্যমান চুক্তি পৌঁছানোর পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, তারা নমনীয়তার পরিচয় দিচ্ছে এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস মিথ্যাচার করছে এবং পূর্বে পৌঁছানো সমঝোতাকে অস্বীকার করে আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করছে। তবে তিনি বলেন, ইসরাইল তাদের জিম্মি নাগরিকদের মুক্ত করতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
এদিকে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ গত বুধবার সন্ধ্যায় পুনরায় নিশ্চিত করেছেন, গাজা উপত্যকায় নিরাপত্তা অঞ্চল এবং বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করতে তার দেশ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায়।
What's Your Reaction?