বন্দি জিম্মিদের মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ হামাসের বিরুদ্ধে, দাবি ইসরাইলের
গাজায় হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি ও বিদেশি জিম্মিদের ওপর যৌন ও মানসিক নির্যাতন, অনাহার, পোড়ানো এবং চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি নতুন প্রতিবেদনে এসব দাবি করা হয়েছে, যা সম্প্রতি জাতিসংঘে জমা দেওয়া হয়েছে।
গাজায় হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি ও বিদেশি জিম্মিদের ওপর যৌন ও মানসিক নির্যাতন, অনাহার, পোড়ানো এবং চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি নতুন প্রতিবেদনে এসব দাবি করা হয়েছে, যা সম্প্রতি জাতিসংঘে জমা দেওয়া হয়েছে।
টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে ২৯ ডিসেম্বর জানানো হয়েছে, এই প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে মেডিকেল দলের সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে, যারা ১০০ জনেরও বেশি ইসরাইলি ও বিদেশি জিম্মিকে চিকিৎসা প্রদান করেছেন। এই জিম্মিরা ২০২৩ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির আওতায় মুক্তি পেয়েছিল। এছাড়া, আরও আট জিম্মিকে উদ্ধার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
ইসরাইল দাবি করেছে, জিম্মিদের মধ্যে ৩০টিরও বেশি শিশু এবং কিশোর রয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে উত্তপ্ত বস্তু দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া, নারীদের বন্দুকের মুখে অপহরণকারীদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পুরুষদের মারধর করা হয়েছে, তাদের ক্ষুধার্ত রেখে বিচ্ছিন্নভাবে বন্দী করা হয়েছে এবং বাথরুমে প্রবেশ করতে অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকি আহতদের চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনটি গোপনীয়তা রক্ষার জন্য জিম্মিদের নাম বা বয়স প্রকাশ করেনি। হামাস এই অভিযোগগুলো বারবার অস্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে যে, ইসরাইল থেকে অপহৃত ২৫১ জিম্মির ওপর তারা কোনো নির্যাতন চালায়নি। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় বন্দি ১০০ জিম্মির প্রায় অর্ধেক এখনও জীবিত রয়েছে। যদিও, সম্প্রতি গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
এদিকে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা করতে হামাসের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দোহায় শনিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দেশটির সিনিয়র কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়া।
What's Your Reaction?