সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘এখন আর গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘এখন আর গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচনী কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ইচ্ছাকৃত কোনো ভুল কমিশন করবে না বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘কোনোভাবেই ভোটার তালিকায় অনিয়ম বা স্বার্থপরতার উদ্দেশ্যে কেউ কাজ করবে না। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটারদের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভোটের প্রতি মানুষের যে আগ্রহের ঘাটতি ছিল, সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। এখন মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী। ভোট যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে যেভাবে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তার পুনরুদ্ধারে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে। ভোটার হালনাগাদে কোনো ধরনের অনিয়ম, অবহেলা বা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।’
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য আইন এবং বিবেকই কমিশনের প্রধান হাতিয়ার হবে। কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধি বা অবৈধ কাজ করলে কমিশন সেই দায়িত্ব নেবে না।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সতর্কতা এবং তৎপরতার সাথে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাছউদ বলেন, ‘নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত। কমিশন এ কাজে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এগিয়ে যাবে।’
What's Your Reaction?