গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অটল এরদোগান, দিলেন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান দেশটির দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান দেশটির দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
হুরিয়াত ডেইলি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ কথা বলেন এরদোগান।
বক্তব্যের পর, প্রেসিডেন্ট তুর্কি জনগণকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছে, যারা দেখিয়েছে যে গাজা একা নয়।”
তিনি আরো বলেন, “১ জানুয়ারি আমাদের নাগরিকরা ফিলিস্তিনের প্রতি তুরস্কের অটল সমর্থন প্রদর্শন করে বিশ্বের কাছে শক্তিশালী একটি বার্তা পাঠিয়েছে।”
এরদোগান আরও বলেন, “৬১ বছরের বাথ নিপীড়ন এবং ১৩ বছরের গণহত্যার পর, সিরিয়ায় যেমন বিশ্বাস, ভরসা ও ধৈর্য বিরাজ করছে, তেমনি আল্লাহর ইচ্ছায় ফিলিস্তিনেও একদিন ন্যায়ের জয় হবে। ন্যায়ের সূর্য নিপীড়নের অন্ধকার ভেদ করে উদিত হবে।”
তিনি ফিলিস্তিনের জন্য তুরস্কের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিশ্চিত করে বলেন, “১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে, আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রেখে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং পূর্ব জেরুজালেম হবে তার রাজধানী।”
এ সময়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি আশা করি, নতুন বছর গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য শান্তি এবং স্বস্তি নিয়ে আসবে।”
এদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালাচ্ছে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় গাজায় ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।
What's Your Reaction?