সিরিয়ায় নতুন সম্ভাবনার সূচনা করছেন এরদোগান
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ **সিরিয়া** নিয়ে আশার আলো দেখছেন **তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান**। তার দাবি, সিরিয়ায় সরাসরি পদক্ষেপ না নিয়েও তুরস্ক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ **সিরিয়া** নিয়ে আশার আলো দেখছেন **তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান**। তার দাবি, সিরিয়ায় সরাসরি পদক্ষেপ না নিয়েও তুরস্ক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) **বার্তাসংস্থা আনাদোলু**র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, "আমরা সরাসরি সিরিয়ায় পা রাখিনি, তবে আমরা দেশটির প্রতিটি ইস্যুতে ব্যাপক মনোযোগ দিয়েছি এবং সেগুলো মোকাবিলা করেছি। আজ সিরিয়া বর্তমান অবস্থানে এসে পৌঁছেছে এবং সেখানে এখন আবার সূর্য উঠছে।"
তুরস্কের **ওর্দু প্রদেশে** একে পার্টির অষ্টম সাধারণ প্রাদেশিক কংগ্রেসে বক্তৃতা করার সময় এরদোগান এই মন্তব্য করেন। তিনি সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিকে তুরস্কের আঞ্চলিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে তুলে ধরেন।
এরদোগান বলেন, "তুরস্কের সীমান্ত সুরক্ষায় সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং বহুমুখী কৌশল ইতিবাচক ফলাফল এনেছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "এই অঞ্চলে ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটছে, এবং তা শুধু আমাদের সীমান্তের মধ্যে নয়, বরং আমাদের সীমান্তের বাইরেও ঘটছে।"
সিরিয়ার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এরদোগান আরও বলেন, "বিচ্ছিন্নতাবাদী খুনিরা তাদের অস্ত্র পুড়িয়ে ফেলবে, নতুবা তাদের অস্ত্রসহ সিরিয়ার মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।"
গত মাসের শুরুর দিকে **সিরিয়ার ক্ষমতাসীন তুরস্ক-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী** এবং স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বৈরিতা তৈরি হয়। এরই মধ্যে **কুর্দিপন্থি যোদ্ধাদের** অস্ত্র সমর্পণের পরামর্শ দিয়েছিলেন এরদোগান।
তুরস্কের সংসদে একে পার্টির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "কুর্দি যোদ্ধারা যদি অস্ত্র সমর্পণ না করেন, তবে তাদের অস্ত্রসহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।"
সিরিয়ায় চলমান ঘটনাবলীকে **তুরস্কের কৌশলগত অগ্রগতি** হিসেবে দেখছেন এরদোগান। তার মতে, এ অঞ্চলে তুরস্কের নীতিমালা শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দিকে এগোচ্ছে।
What's Your Reaction?