ফ্ল্যাট কাণ্ড ফাঁসের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে টিউলিপ
যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি, সম্পদের তথ্য গোপন এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি, সম্পদের তথ্য গোপন এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসেছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরই প্রথমবারের মতো তিনি জনসাধারণের সামনে এসে নিজের অফিসেও উপস্থিত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে *ফিন্যান্সিয়াল টাইমস* জানায়, টিউলিপ তার ক্ষমতাচ্যুত খালা, শেখ হাসিনার এক সহযোগীর কাছ থেকে উপহার হিসেবে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন এবং সে তথ্য তিনি গোপন রেখেছিলেন।
*ডেইলি মেইল* জানায়, 'মিথ্যা কথা বলার অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে। ২০২২ সালে এই ফ্ল্যাট নিয়ে তদন্ত করা হয়েছিল, যখন এটি পাওয়া গেছে। ওই সময় টিউলিপ মিথ্যা দাবি করেন যে, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা কিনেছেন, যদিও এটি আসলে তাঁর খালার সহযোগী থেকে উপহার পাওয়া ছিল।'
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিউলিপ তাদের হুমকি দিয়েছিলেন যে, যদি প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়, তাহলে তারা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তখন প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়নি।
বর্তমানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর *ডাউনিং স্ট্রিট* জানিয়েছে, "প্রধানমন্ত্রীর ‘মিনিস্ট্রিয়াল কোড’ উপদেষ্টা তদন্ত করবেন যে, টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে *ডেইলি মেইল*-এর সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন কি না।"
লেবার পার্টির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, টিউলিপের বাবা-মা ফ্ল্যাটটি কেনেননি, বরং এটি তার স্বৈরাচারী খালার সহযোগী থেকে ‘কৃতজ্ঞতার’ অংশ হিসেবে উপহার পাওয়া হয়েছিল।
*ফিন্যান্সিয়াল টাইমস* জানায়, 'লন্ডনের বিতর্কিত ওই ফ্ল্যাট নিয়ে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি টিউলিপ যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনসিএ) তদন্তের মুখে পড়তে পারেন।'
এই খবর প্রকাশের পর থেকে টিউলিপ ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন। সূত্রে জানা গেছে, ফ্ল্যাট বিষয়ে তার পূর্বের অবস্থান থেকে তিনি এখন সরে এসেছেন।
What's Your Reaction?