গাভি ও ইয়ামালের গোলে ফাইনালে বার্সেলোনা
ফাইনালে পৌঁছানোই একটি দারুণ খবর। তবে গতকাল বুধবার রাতে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ২-০ গোলে হারানোর আগে বার্সেলোনা পেয়েছিল আরও একটি বড় সুখবর।
ফাইনালে পৌঁছানোই একটি দারুণ খবর। তবে গতকাল বুধবার রাতে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ২-০ গোলে হারানোর আগে বার্সেলোনা পেয়েছিল আরও একটি বড় সুখবর। গাভি এবং লামিন ইয়ামালের গোলে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে জয় পাওয়ার আগে, বার্সেলোনা দলে নতুন দুটি খেলোয়াড় যুক্ত করার সুযোগ পেয়েছিল। এই দুই খেলোয়াড় হলেন দানি অলমো ও পাউ ভিক্তর, যাদের ক্লাবটি অস্থায়ীভাবে নিবন্ধন করতে পেরেছে।
গত গ্রীষ্মে দুজনকেই দলে নেয় বার্সেলোনা, কিন্তু তাদের নিবন্ধন শুধুমাত্র আধ মৌসুমের জন্যই হয়েছিল। কারণ, ক্লাবটির ব্যয়ের সীমা ছিল অত্যন্ত কম। এরপর ডিসেম্বরে বার্সা তাদের পুরো মৌসুমের জন্য নিবন্ধনের আবেদন করেছিল, কিন্তু দুইটি আদালত আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে লা লিগা জানায়, শর্ত পূরণ না হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে, গত শুক্রবার বার্সেলোনা তাদের ব্যয়ের সীমা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করলেও, অলমো ও ভিক্তরের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। কারণ লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, এক মৌসুমে একই খেলোয়াড়কে দুটি বার নিবন্ধন করানো যাবে না। এরপর বার্সেলোনা আপিল করে স্পেনের জাতীয় ক্রীড়াবিষয়ক কাউন্সিল- সিএসডিতে। মামলার ফলাফল এখনও চলমান থাকায়, শীর্ষ ক্রীড়া আদালত বার্সেলোনাকে অলমো ও ভিক্তরকে দলে নেওয়ার সুযোগ দেয়।
এই সুখবর মাঠে নামার আগেই পেয়ে যায় বার্সেলোনা, তবে তাদের মাঠে নামার সময়টুকু একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে অলমো ও ভিক্তর স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচটি বাইরে থেকেই দেখেছেন। তবে, দলের পারফরম্যান্স দেখে অবশ্য তাদের হতাশ হওয়ার কথা নয়।
বুধবার রাতের ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ২-০ গোলে জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেয় বার্সেলোনা। ম্যাচে প্রথম গোলটি করেন গাভি। ১৬ মিনিটে অ্যালেক্স বালদের ক্রস থেকে গোলটি করেন তিনি। এরপর ৫১ মিনিটে গাভির পাস থেকে গোল করেন লামিন ইয়ামাল, যিনি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে সোজা গোলটি করেন।
বিলবাও একাধিকবার ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করলেও বার্সা গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যান্সনির দারুণ সেভে দলের লিড বজায় থাকে। ৮৬ মিনিটে বিলবাও একটি গোল করলেও, ভিএআরে ফাউল দেখে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
ফাইনালে খেলার জন্য বার্সেলোনা এখন প্রস্তুত। তারা ১৩ জানুয়ারি কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে। তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে, তা জানা যাবে আজ রাতের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচের পর, যেখানে রিয়াল মাদ্রিদ এবং মায়োর্কা মুখোমুখি হবে।
What's Your Reaction?