শর্ত না মানলে সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাবে তুরস্ক
সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জানিয়েছেন, যদি কুর্দি বাহিনী প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের পতনের পর আঙ্কারার শর্ত মেনে না নেয়, তাহলে তুরস্ক কুর্দিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জানিয়েছেন, যদি কুর্দি বাহিনী প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের পতনের পর আঙ্কারার শর্ত মেনে না নেয়, তাহলে তুরস্ক কুর্দিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) *ডয়চে ভেলে* এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
হাকান ফিদান সিএনএন তুর্কি টেলিভিশনকে বলেন, “কুর্দি নেতৃত্বাধীন পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) তুরস্কের দাবিতে সম্মত না হলে আমরা যা প্রয়োজন তা করব।”
এতে কী থাকতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সামরিক অভিযান।”
তুরস্ক, ওয়াইপিজিকে নিজ দেশে ৪০ বছর ধরে তৎপর কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা মনে করে। তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ে এই সশস্ত্র রাজনৈতিক দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পিকেকে গত কয়েক দশক ধরে তুর্কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে।
### তুরস্কের ‘স্পষ্ট’ আল্টিমেটাম
গত মাসে ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের মাধ্যমে আসাদের পতনের পর তুরস্ক নিষিদ্ধ ঘোষিত পিকেকের সঙ্গে কুর্দি বাহিনীর সম্পর্কের অভিযোগ তুলে সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে তুরস্কের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তুলে ধরেছিল।
ফিদান বলেন, "তুরস্ক, ইরান এবং ইরাক থেকে আসা আন্তর্জাতিক যোদ্ধাদের অবিলম্বে সিরিয়া ছেড়ে যেতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত এই দিকে কোনো প্রস্তুতি বা অভিপ্রায় দেখছি না এবং আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা আমেরিকানদের মাধ্যমে তাদের (ওয়াইপিজি) আল্টিমেটাম দিয়েছি, সেটা স্পষ্ট।"
এর আগে সিরিয়ায় কুর্দি সশস্ত্র যোদ্ধাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেছিলেন, “যদি কুর্দি বাহিনী অস্ত্র সমর্পণ না করে, তবে তাদের কবর রচনা করা হবে।”
গত ৯ বছরে তুরস্ক একাধিক স্থল অভিযান পরিচালনা করেছে যাতে সিরিয়ার সীমান্তে কুর্দি বাহিনীকে দূরে রাখা যায়।
ওয়াইপিজি মিলিশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর প্রধান অংশ এবং নিষিদ্ধ কুর্দি ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সম্প্রসারিত রূপ হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। পিকেকে ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। ন্যাটো সদস্য হওয়ার পরেও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে ওয়াশিংটন এবং আঙ্কারা পরস্পরবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন প্রদান করেছে।
What's Your Reaction?