জানুয়ারির শেষ ১০ দিনে বাড়বে শীত, জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস
পৌষ মাসের শেষের দিকে দেশে শীতের অনুভূতি কিছুটা কম থাকলেও, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাড়কাঁপানো শীত শুরু হতে পারে। বুধবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জায়গায় কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়।
পৌষ মাসের শেষের দিকে দেশে শীতের অনুভূতি কিছুটা কম থাকলেও, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাড়কাঁপানো শীত শুরু হতে পারে। বুধবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জায়গায় কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। সকাল থেকে সূর্য দেখা যায়নি, এবং কুয়াশার সঙ্গে শীতের হিমেল হাওয়া শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করেছে। আজ থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
এছাড়া জানুয়ারির দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে একাধিক শৈত্যপ্রবাহের আভাস রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলতি মাসে ১ থেকে ৩টি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে, আর ১ থেকে ২টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহও হতে পারে।
### তাপমাত্রা এবং শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ঢাকার তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিন ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বেড়ে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গের অন্য এলাকাগুলোর তাপমাত্রা খুব একটা কমেনি, তবে সেখানে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ১৪ জানুয়ারির মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে, তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এক সপ্তাহের মধ্যে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে জানুয়ারির শেষের দিকে, বিশেষ করে ২০ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আরও এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এসময় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় শীতের অনুভূতি বেশি হতে পারে।
### শীতের তীব্রতা এবং মানুষের সমস্যা
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তাহলে তা শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হবে। তবে এখনো দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ নেই, কিন্তু কুয়াশা ও মেঘের কারণে দিনের তাপমাত্রা অনেক কমে এসেছে, যার ফলে শীতের অনুভূতি বেড়েছে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য কমেছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের জন্য পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত খেটে খাওয়া মানুষরা শীতে হিমশিম খাচ্ছেন। শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহণ এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগ যেমন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এখন পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বাড়লেও, শীতজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা ও দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
What's Your Reaction?