স্বাধীনতার উচ্চাশা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য হবে না গ্রিনল্যান্ড
ক্ষমতার মসনদে বসেননি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে এর আগেই বিভিন্ন দেশের বিষয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন। সম্প্রতি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি, আর এবার তিনি দাবি করেছেন, জোর করে হলেও গ্রিনল্যান্ড দখল করা উচিত।
ক্ষমতার মসনদে বসেননি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে এর আগেই বিভিন্ন দেশের বিষয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন। সম্প্রতি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি, আর এবার তিনি দাবি করেছেন, জোর করে হলেও গ্রিনল্যান্ড দখল করা উচিত।
এই মন্তব্যের পর ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বুধবার তিনি বলেন, "যদি গ্রিনল্যান্ডের অধিবাসীরা চান, তবে তারা স্বাধীন হতে পারে, তবে তারা কখনও যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য হবে না।" ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ডেনমার্কের রাজার সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের নেতাদের কোপেনহেগেনে বৈঠক হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন, তবে তার আগেই গ্রিনল্যান্ড দখলের বিষয়ে তিনি কঠোর হুমকি দিয়েছেন। মঙ্গলবার ট্রাম্প ডেনমার্ককে সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন, "যদি তারা গ্রিনল্যান্ড না দেয়, তবে ডেনমার্কের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করা হবে।" এমনকি সামরিক শক্তি ব্যবহার করে গ্রিনল্যান্ড দখলের সম্ভাবনাও নাকচ করেননি তিনি। ট্রাম্প মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এজন্য তিনি বারবার দ্বীপটি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যদিও প্রতিবারই তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড প্রায় ৬০০ বছর ধরে ডেনমার্কের অংশ। গ্রিনল্যান্ডের ৫৭ হাজার জনসংখ্যা রয়েছে এবং এটি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য, ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেছেন, "আমরা গ্রিনল্যান্ডের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে পুরোপুরি স্বীকার করি, কিন্তু তারা কখনও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল স্টেট হবে না।" তিনি আরও বলেন, "চীন ও রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের কারণে আর্কটিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়াটা বাস্তব। তবে, আমি মনে করি না যে, আমরা পররাষ্ট্রনীতির সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমরা কীভাবে আরও সহযোগিতা করতে পারি তা নিয়ে আমাদের সংলাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।"
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনও ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "আমি মনে করি না যে, ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্খা তাকে গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন সামরিক অভিযান চালানোর দিকে ঠেলে দেবে।"
এদিকে, যদিও গ্রিনল্যান্ডের অনেকেই ডেনমার্ক থেকে স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তবে ডেনিশ রাজা এখনও দ্বীপটিতে জনপ্রিয়। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, "রাজা (ডেনিশ রাজা) খুবই জনপ্রিয়। সুতরাং, তিনি অবশ্যই ডেনিশ-গ্রিনল্যান্ড সম্পর্ক রক্ষায় সহায়তা করতে পারবেন।"
What's Your Reaction?