আ.লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা করছেন এইচটি ইমাম
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট একটি অনুসন্ধান শুরু করেছিল। জানা গেছে, ওই সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) বিভাগও একটি জরিপ পরিচালনা করে, যার ফলস্বরূপ উঠে আসে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ মাত্র ২২ আসনে জয়ী হতে পারে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট একটি অনুসন্ধান শুরু করেছিল। জানা গেছে, ওই সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) বিভাগও একটি জরিপ পরিচালনা করে, যার ফলস্বরূপ উঠে আসে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ মাত্র ২২ আসনে জয়ী হতে পারে। জাতীয় পার্টির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল এক আসনে, আর বাকি আসনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা জয়ী হতে পারে।
আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে প্রশাসন ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করেন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। তাকে সেই সময়ে সহায়তা করেন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, পুলিশপ্রধান ড. জাবেদ পাটওয়ারী, সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় যেসব এসপি ও ডিসি কর্মরত ছিলেন, তাদের তালিকা ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তার আয়কর ফাইল মাঠ পর্যায়ের কর অফিস থেকে আয়কর গোয়েন্দায় পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের আয়কর ফাইলের সঙ্গে তাদের সামাজিক জীবনযাত্রা যাচাই করা হবে। প্রয়োজন হলে তাদের স্ত্রীর এবং আত্মীয়স্বজনের আয়কর ফাইলও তলব করা হতে পারে।
এক আয়কর গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ডিসি ও এসপি-দের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দুর্নীতির একাধিক তথ্য সম্প্রতি আয়কর গোয়েন্দায় জমা পড়েছে। এ কারণে তাদের আয়কর ফাঁকি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করা হবে।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী যুগান্তরকে বলেন, "শুধু ২০১৮ সালের নির্বাচনে সহায়তাকারী ডিসি-এসপি নয়, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালন করা সব আমলা, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও কর ফাঁকি অনুসন্ধান করা উচিত। এরা শুধু দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেননি, লুটেরা আওয়ামী লীগের দোসরদের বিদেশে অর্থ পাচারে সহায়তাও করেছেন।"
তিনি আরও বলেন, "এই অনুসন্ধান দ্রুত শেষ করতে হবে এবং শেষে এসব কুশীলবদের কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত।"
What's Your Reaction?