আসাদের পতনে পরাজিত হয়েছে ইরান, স্বীকারোক্তি জেনারেলের"
মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া সংকটে ইরান বড় ধাক্কা খেয়েছে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর ইরানের অবস্থান আরও সংকটময় হয়ে উঠেছে। যদিও ইরানের প্রভাবশালী বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার হোসেইন সালামি দাবি করেছেন, আসাদের পতনের পরও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দুর্বল হয়নি।
মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া সংকটে ইরান বড় ধাক্কা খেয়েছে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর ইরানের অবস্থান আরও সংকটময় হয়ে উঠেছে। যদিও ইরানের প্রভাবশালী বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার হোসেইন সালামি দাবি করেছেন, আসাদের পতনের পরও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দুর্বল হয়নি।
তবে গত সপ্তাহে এক বক্তৃতায় সিরিয়ায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল বেহরুজ এসবাতি বলেছেন, আসাদের পতনের ফলে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান গুরুতর পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে এবং এটি একটি বড় ধাক্কা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এই খবরটি প্রথমে প্রকাশ করেছে *টাইমস অব ইসরাইল*।
এতে বলা হয়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বেহরুজ এসবাতি বলেন, "আমি সিরিয়াকে হারানোকে গর্বের কিছু মনে করি না।"
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এসবাতি আরও বলেন, "আমরা সিরিয়ায় খুব খারাপভাবে পরাজিত হয়েছি। এটি একটি বড় ধাক্কা এবং সত্যিই খুব কঠিন।"
তিনি সিরিয়ায় আসাদের পতনের জন্য রাশিয়াকেও দায়ী করেছেন। এসবাতি দাবি করেন, রাশিয়া বিদ্রোহী বাহিনীর বিরুদ্ধে যথাযথ বোমাবর্ষণ করেনি, যার ফলে বিদ্রোহীদের শক্তি অনেক বেড়ে যায়।
এছাড়া, ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের ইসরাইলের বিরুদ্ধে নতুন ফ্রন্ট খুলতে সিরিয়ার সরকার প্রত্যাখ্যান করার পর, আসাদ ও তেহরানের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। এসবাতি বলেন, সিরিয়ার সরকার পতনের আগে আসাদ ও তার মিত্রদের মধ্যে এই সম্পর্ক ছিল সংকটপূর্ণ।
এদিকে, এসবাতি আরও বলেছেন, আসাদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও ইরান সিরিয়ায় নতুন যোদ্ধা তালিকাভুক্ত করার উপায় খুঁজে বের করবে। তিনি জানান, "আমরা দীর্ঘ বছর ধরে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি, তা সক্রিয় করতে পারব।"
ইরানি এই জেনারেল বলেন, "আমরা সামাজিক স্তরের কাজগুলোকে সক্রিয় করতে পারি, যেগুলো আমাদের ছেলেরা বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছিল। সামাজিকমাধ্যমে সক্রিয় হতে পারি এবং প্রতিরোধ গঠন করতে পারি। এখন আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে পারি, এবং আমরা ইতোমধ্যেই শুরু করেছি।"
রাশিয়া ও ইরান গত এক দশক ধরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে প্রধান সমর্থন প্রদান করেছে। আসাদ, যিনি ইসরাইল ও মার্কিন বিরোধী হিসেবে পরিচিত, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরোধী বাহিনী লড়াই করলেও ইরান ও রাশিয়া তার পাশে দাঁড়িয়ে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিয়ে এসেছিল।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইরান আসাদের সরকারের প্রতি সামরিক, আর্থিক এবং লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
What's Your Reaction?